
থাইল্যান্ডের উবন রাতচাথানি প্রদেশ। এখানে আছে চীন-থাইল্যান্ডের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সহযোগিতায় দুই অনন্য প্রকল্প। একটি হলো সৌরচালিত দাতব্য বিদ্যালয় ও অন্যটি বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দুটোই আমূল বদলে দিয়েছে স্থানীয়দের জীবনমান। থাইল্যান্ডের জ্বালানি কাঠামোতে এনেছে বৈপ্লবিক রূপান্তর।
মেকং নদীর বাঁকে অবস্থিত এই অঞ্চলে বছরে দুই হাজার ঘণ্টারও বেশি রোদ থাকে। প্রতি বর্গমিটারে ৫.২ কিলোওয়াট-ঘণ্টা সৌরশক্তি পাওয়া যায়, যা ব্যাংককেরও চেয়ে ২৭ ভাগ বেশি।
চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ নির্মিত সিরিনধর্ন বাঁধে স্থাপিত ১.৪৪ লাখ সোলার প্যানেল নিয়ে গঠিত জল-ভাসমান সৌর প্রকল্পটি ২০২১ সালে চালু হয়। এটি ৭০টি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং বছরে ৭৬ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা ২৮ হাজার ৩০০ মানুষের চাহিদা পূরণ করছে।
এই প্রকল্প বছরে ৪৭ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ কমিয়েছে। একইসঙ্গে এটি স্থানীয় পর্যটনও বাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষ এটি পরিদর্শন করেছেন।
সূত্র: সিএমজি