রিয়াদ আহাম্মেদ,শেরপুর: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মো. জাকির হোসেন(২১) নামে এক জুলাই যুদ্ধাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে আঃ রহিম (৩০)কে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০জুন) দুপুরে তাকে উপজেলার কলেজ রোড এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটককৃত আঃ রহিম উপজেলার প্রতাবনগর এলাকার মৃত খলিল মিয়ার ছেলে।
অপরদিকে জুলাই যুদ্ধা জাকির হোসেন কাংশা ইউনিয়নের আয়নাপুর এলাকার আব্দুল মালেক এর ছেলে এবং জমশেদ আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
থানায় দায়ের করা বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২৯ জুন রবিবার বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে জুলাই যুদ্ধা মো.জাকির হোসেন তার ব্যক্তিগত কাজে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের সামনে আসে। এসময় আবু সাইদের ছেলে রাসেল মিয়া, আব্দুল মান্নানের ছেলে ফিরুজ মিয়া ও মৃত খলিল মিয়ার ছেলে আঃ রহিম সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন যুবক ফিল্মি স্টাইলে পরিকল্পিত ভাবে জাকির হোসেনকে মারধর করে টেনে হিঁচড়ে একটি অটো গাড়িতে উঠিয়ে নেয়।
এসময় জুলাই যুদ্ধা জাকির হোসেনের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে ওই অটো গাড়িটি আটকিয়ে তাকে উদ্ধার করে। জনতার অসংখ্য ভীড় জমায় অপহরণকারীরা অটো গাড়িটি নিয়ে সটকে পড়ে। পরে স্থানীয় জনতা জুলাই যুদ্ধাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর রবিবার রাতেই তিনজনকে স্বনামে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার দুপুরে আঃ রহিমকে আটক করে।
একটি সুত্র জানায়,আটককৃত আঃ রহিমকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে জোর তদবির চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে জুলাই যুদ্ধা জাকির হোসেন জানান, যাহারা আমাকে বেপরোয়া ভাবে মারধর করে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণের চেষ্টা করেছে প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আমি কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছি।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আল আমিন এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে আঃ রহিমকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরকেও ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।