Monday, June 30
Shadow

রাস্তার অভাবে জনগনের কাজে আসছে না সেতু  

নান্দাইলে কোটি টাকার সেতুর ওপর দিয়ে ২৫ বছরেও চলতে পারেনি যানবাহন

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বলদা বিলের কাছাকাছি দাতারাটিয়া (পুতলাকান্দা) গ্রামের নলা খালে নির্মিত সেতুটির দুইপাশে রাস্তার অভাবে জনগনের কোন কাজে আসছে না ২০০১সনে কোটি টাকার খরচ করে নিমার্ণ করার এই সেতুটি। র্দীঘ প্রায় ২৫ অতিবাহিত হলেও এই সেতু দিয়ে আজ পর্যন্ত একটি গাড়িও উপর দিয়ে পারাপার হতে পারিনি। জানাযায়, ২০০১ সালে ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থ পাকা ব্রিজটি প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এ সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সরজমিনে পরিদর্শন ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, বলদা বিলের তিন দিকে নেই বাড়িঘর। একদিকে নিচু কাঁচা রাস্তার শেষ মাথায় একটি খাল। খালের অন্য পাশে রাস্তার কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সেই খালের ওপর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পুতলাকান্দা সেতু। রাস্তা না থাকায় সেতুটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না। গত ২৫ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এটি। শুকনো মৌসুমে বলদা বিলে ধান আবাদ ও বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরতে আশপাশের গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সহজ রাস্তা হিসেবে এ ব্রিজ পাড় হতে হয়। খালটি ঝালুয়া বাজারের পাশ দিয়ে লংগাড় পাড় হয়ে নরসুন্ধা নদীতে গিয়ে মিশেছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় বলদা বিলের পানি এ খাল দিয়েই নরসুন্ধা নদীতে যায়। ব্রিজের দণি পাশে দাতারাটিয়া গ্রাম। সেখানে আঁকাবাঁকা আইলের মত রাস্তা থাকলেও ছোটখাট যানবাহন দূরে থাক, এ পথে হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর। অথচ এ পথেই আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা নান্দাইল উপজেলা সদরসহ ঝালুয়া বাজারের সঙ্গে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারে। সেতুটির দণিপাশ ছাড়া অন্যপাশে কাছাকাছি কোনো বসতি নেই। উত্তর পাশে নিচু মাটির রাস্তা থেকে সেতুর অবস্থান অনেক উপরে। সেতুর দণি পাশে রাস্তার কোনো অস্তিত্ব নাই। কোনো যানবাহন চলাচল দূরে থাক পথচারীদের হেঁটে সেতু পার হওয়া খুবই কষ্টকর। এবিষয়ে কাটলীপাড়া গ্রামের সেকান্দর আলী জানান, রাস্তা না থাকায় লোকজন এ পথে না এসে ভিন্নপথে চলাচল করে। কখনও না জেনে সাইকেলে করে আইসক্রিম ওয়ালারা এ পথে চলে আসে। তখন ছোট ছেলেমেয়েদের আইসক্রিম খাইয়ে তাদের সহায়তা নিয়ে সেতু পার হতে হয়। দাতারাটিয়া গ্রামের সদুত মিয়া জানান, সাবেক মন্ত্রী চেষ্টা করেছিলেন একটি রাস্তার তৈরি করার জন্য। কিন্তু আশপাশের জমির মালিকরা জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় আর রাস্তা তৈরি করা যায়নি। নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক বিশ্বাস জানান, দুই যুগ আগে নির্মিত সেতুর কাগজপত্র জেলা অফিসে জমা আছে। তাই কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছেন না। তবে বিস্তারিত জানার জন্য কয়েকদিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সড়ক নির্মাণের পদপে নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *