Tuesday, July 1
Shadow

বাহরাইনকে ৭ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ নারী দল

ফিফা নারী র‌্যাংকিংয়ে বাহরাইনের থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে ৩৬ ধাপ। কাগজে-কলমে প্রতিপক্ষ অনেক এগিয়ে। তবে মাঠের খেলায় তার কিছুই দেখা গেল না। বরং বাহরাইনকে নিয়ে যেন ‘ছেলেখেলাই’ করল বাংলাদেশের মেয়েরা।

প্রথমবারের দেখাতেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজরা। এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের এই ম্যাচে প্রথমার্ধেই পাঁচ গোল করে বড় জয়ের ভিত্তি গড়ে তোলে কোচ পিটার বাটলারের দল।

ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। স্বপ্না রানির করা দুর্দান্ত এক ক্রসে বাহরাইনের গোলরক্ষক খুলুদ সালেহ আবদুল্লাহ বল আটকাতে আসেন। তবে তাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন শামসুন্নাহার।

মাত্র ৫ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে গোলটি করেন তিনি। এর আগে প্রথম গোলের সহায়তাকারী স্বপ্না রানিই পাস দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণাকে।

পুরো ম্যাচজুড়েই আধিপত্য দেখানো বাংলাদেশ ২৪ মিনিটে আরেকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল। একা গোলরক্ষকের মুখোমুখি হয়েও বল জালে রাখতে পারেননি মনিকা চাকমা। খুলুদের মাথার ওপর দিয়ে বল চিপ করলেও সেটি চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

৩২ মিনিটে অবশ্য তহুরা খাতুন একবার বল জালে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়। তবে বিরতির আগে ঠিকই জোড়া গোল করে দেন দলের নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড তহুরা।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ মিনিটে দুটি গোল করে ব্যবধান ৫-০ করে দেন তিনি। তার আগেই, ৪০ মিনিটে বাংলাদেশের তৃতীয় গোলটি করেছিলেন কোহাতি কিসকু।

বিরতির পরেও আক্রমণাত্মক খেলায় ছন্দ ধরে রাখে বাংলাদেশ। ৪৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন শামসুন্নাহার। তবে শেষ মুহূর্তে বাহরাইনের গোলরক্ষক খুলুদ বল পা দিয়ে আটকে দেন।

৬০ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল বাহরাইন। কিন্তু বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনা চাকমা দারুণ দক্ষতায় বল ধরে ফেলেন। সেই রক্ষার পরপরই আবার গোলমুখে আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন বাহরাইনের ডিফেন্ডার রাওয়ান নাবেল আল আলি, যার ফলে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৬-০।

৬৭ মিনিটে আবারও এক দুর্দান্ত সেভ করেন রূপনা চাকমা। প্রতিপক্ষের জোরালো শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত, ৭৪ মিনিটে দলের পক্ষে সপ্তম ও শেষ গোলটি করেন মোসাম্মৎ মুনকি আক্তার। এরপর আর কোনো গোল না হলে, বড় জয় দিয়েই মিয়ানমারে শুরু হওয়া এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *