
রিয়াদ আহাম্মেদ, শেরপুর: শেরপুরে বাড়ছে পাহাড়ি নদ-নদীর পানি। এর মধ্যে নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো কোনো বাড়িঘর প্লাবিত হয়নি।
সোমবার (২ জুন) বিকাল পৌনে ৪টায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার নিম্নাঞ্চল ও খালবিলে পানি বেড়েছে।
এদিকে, সকালে ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নের কাড়াগাঁও এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর পাড় ভেঙে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে। সকালেই কাড়াগাঁও বটতলা এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ঘণ্টাখানেক পরে পানি নেমে যায়।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গত কয়েক দিনে ভারতের মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে সোমবার সকালে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে দুপুর নাগাদ পানি কমতে শুরু করে এবং বিকাল পৌনে ৪টায় তা বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এছাড়া, ভোগাই নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোগাই নদীর পানি নাকুগাঁও পয়েন্টে ১৩৪ সেন্টিমিটার এবং নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৬৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় রয়েছে। তবে সদর উপজেলায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৫৯৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঝিনাইগাতীতে সোমেশ্বরী ও মহারশি নদীর পানি সকালে বাড়লেও দুপুর থেকে তা কমতে শুরু করেছে। উজানের পানি নেমে নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে খালবিলগুলোতেও পানি বেড়েছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো সময় পানি আরও বাড়তে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।