Tuesday, May 13
Shadow

‘সি চিনপিং: দেশ প্রশাসন’ বই বিষয়ক চীনা-বাংলাদেশি পাঠকসভা অনুষ্ঠিত

মে ১১, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো’সি চিনপিং: দেশ প্রশাসন’ বই বিষয়ক চীনা-বাংলাদেশি পাঠক সভা। রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে যৌথভাবে এই পাঠকসভার আয়োজন করে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস ও চায়না ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ প্রেস।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।অতিথি হিসেবে ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট তু চানইয়ুয়ান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের বইটিতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের সম্প্রদায় গড়ে তোলার ধারণা, সেই সঙ্গে আধুনিকীকরণের দিকে চীনের পথ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ধারণাগুলো বাংলাদেশের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ  ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং শক্তিশালী।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘সি চিনপিং: দেশ প্রশাসন’ বইটি ৪২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলাদেশি পাঠকরা বইটি পড়লে চীন সম্পর্কে জানতে পারবে। বর্তমান বাস্তবতায় সমাজতন্ত্র বিষয়ে সি’র চিন্তা দর্শন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে চায়না প্রশাসনের গাইডিং নীতিমালাও জানা যাবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ  ইউনূসের চীন সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রেসিডেন্ট  সি’র সঙ্গে অনেক বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূস একমত হন। উভয় পক্ষ রাজনৈতিক আস্থা আরও গভীর করার এবং রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন,  চীনের প্রেসিডেন্টের বইয়ের বাংলা প্রকাশনা আমাদের জন্য একটি বড় উপহার। বইটি পড়লে সি’র  রাজনৈতিক দর্শন ও চ্যলেঞ্জ জানা যাবে। শুধু অ্যাকাডেমিক নয়, চীনের পররাষ্ট্র নীতিও তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।

চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট তু চানইয়ুয়ান বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কগভীর। আমরা আশা করি আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, চীনা-বাংলাদেশি পাঠক ফোরামের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা যখন সংস্কার নিয়ে আলোচনা করছি, তখন চীনা প্রেসিডেন্টেরবইটি আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, কূটনীতি ও দুর্নীতিপ্রতিরোধ ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছি। বইটিতে প্রেসিডেন্ট সি একই কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, চীন আমদের নিকটতম প্রতিবেশী। চীনের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। সেসব শিক্ষা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সেমিনারে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের পরিচালক ড. শামসাদ মর্তুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুই, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হান খুনসহ আরও অনেকেই।

নাহার/ফয়সল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *