
মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর বাউফলে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে মারধর, ব্ল্যাকমেইল ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক নারী শিক্ষক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা, তার ছেলে ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ঘটনাটি ঘটেছে বাউফল পৌর শহরের বাংলাবাজার এলাকায়। এ বিষয়ে গত শুক্রবার (৯ মে) রাতে বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত বছরের মে মাসে সূর্যমণি ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষিকার কাছ থেকে জমি কেনার জন্য চুক্তি অনুযায়ী কিস্তিতে ২৩ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেন তিনি। বিনিময়ে শিক্ষিকা স্টাম্প ও একটি ব্ল্যাংক চেক দেন। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও জমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে শিক্ষিকার সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে বিপাকে পড়েন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ মে শিক্ষিকা জরুরি কথা বলার কথা জানিয়ে ভুক্তভোগীকে তার বাসায় ডেকে পাঠান। পরদিন ৫ মে ভুক্তভোগী বাংলাবাজারের ভাড়া বাসায় গেলে সেখানে শিক্ষিকা, তার ছেলে ও আরও ৫-৬ জন মিলে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে অচেতন করে ফেলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়।
পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্টাম্প, ব্যাংক চেক এবং নগদ দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে তাকে একটি সাজানো ভিডিওতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়, যা ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ও তার ছেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাদের ফোন নম্বরে কল ও খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তারা কোনো জবাব দেননি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।