
ভারতকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর এবং অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় এই মতামত প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “ভারত পাকিস্তানের উপর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এই আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ সত্ত্বেও পাকিস্তান চরম সংযম দেখিয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভারতকে আজ আমরা উপযুক্ত জবাব দিয়েছি এবং নিরীহ প্রাণের রক্তের বদলা নিয়েছি। আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী বারবার ভারতীয় আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।”
শাহবাজ শরিফ আরও জানান, পাকিস্তানের পাল্টা অভিযান ‘বুনইয়ানুম মারসুস’ এর মাধ্যমে সেইসব ভারতীয় সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যেখান থেকে পাকিস্তানের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছিল। এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের এই দাবির পর ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একযোগে ইসলামাবাদের দাবি অস্বীকার করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পাকিস্তান ক্রমাগত বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছে। তারা বলছে আদমপুরে ভারতীয় এস-৪০০ এর ক্ষতি হয়েছে, সুরাট ও সিরসায় বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে, নাগরোটায় ব্রহ্মোস স্পেস, ডেরাঙ্গিয়ারি ও চণ্ডীগড়ে আর্টিলারি অবস্থান এবং চণ্ডীগড়ের গোলাবারুদ ডিপো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তারা দাবি করছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত পাকিস্তানের এই মিথ্যা দাবিগুলোকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।”
একই সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “আমি আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি, পাকিস্তানি কর্মকাণ্ড উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উসকানি তৈরি করেছে এবং উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। আজ সকালেও আমরা এই উসকানিমূলক আচরণ প্রত্যক্ষ করেছি।” তিনি পাকিস্তানের সব দাবি ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেন।
উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা
উভয় দেশের সামরিক পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহল উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ চলছে।