
সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসাম : লাকসাম উপজেলায় প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ কর্মসূচি বুধবার (৭ মে) উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ এই ধান সংগ্রহ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল আমিন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. আবু মুসা, উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. জাকির হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ধান সংগ্রহ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ বলেন, দেশে কৃষিপণ্য ও খাদ্য উৎপাদনের মুল চালিকা শক্তি হচ্ছে আমাদের কৃষক। তাই প্রান্তিক কৃষকরা যেনো তাঁদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পায়। সেজন্য সরকার সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ কর্মসূচি চালু করেছেন।
ইউএনও বলেন, এ বছর লাকসাম উপজেলায় সরকারিভাবে ৬২৯ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার প্রতি কেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করেছেন ৩৬ টাকা। প্রান্তিক কৃষকদের নিকট থেকে সরকার সরাসরি এই ধান ক্রয় করছেন। এখানে কোনো মধ্যসত্বভোগী থাকছেন না। উদ্বোধনী দিনে প্রান্তিক পর্যায়ের একজন কৃষকের নিকট থেকে ৩০০০ কেজি (৭৫ মন) ধান ক্রয় করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মাঠ পর্যায়ের কর্মরত উপ সহকারী ও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবং স্কীম ম্যানেজারদের সমন্বয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের তালিকাভুক্তের মাধ্যমে এই ধান সংগ্রহ করা হবে। ধান দিতে ইচ্ছুক কোনো প্রান্তিক কৃষক যদি কোনো কারণে তালিকাভুক্তি হতে বাদ পড়েন। তাহলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অথবা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া, অনলাইনেও আবেদনের সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ছাড়া, এ উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৭১ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছেন ৪৯ টাকা। ইতোমধ্যে মিল মালিকদের নিকট থেকে এই চাল সংগ্রহের কাজ চলছে।
ইউএনও বলেন, ধান-চাল সরবরাহ ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে অবশ্যই আদ্রতার বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেনো কোনোভাবেই তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস’র ওপরে না যায়।