
উত্তর চীনের থিয়েনচিন শহরের বিজ্ঞানী সুন ইউয়ানশিয়া গত ২০ বছর ধরে গবেষণা করছেন চিনি নিয়ে। এ চিনি তৈরি হবে একেবারে আধুনিক কায়দায়—আখের গাছ বা কোনো ফসল ছাড়াই, দরকার হয়নি মাটি। এর জন্য দরকার হয়েছে শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং সিনথেটিক বায়োলজি প্রযুক্তি।
চায়না অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস-এর থিয়েনচিন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল বায়োটেকনোলজির গবেষক সুন ও তার দল ২০২৩ সালে এক নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন যা এমনই বিরল প্রজাতির চিনি তৈরি করতে পারছে। এতে করে মাটির ওপর চাপ কমবে, পানির ব্যবহার কমবে, বাঁচবে পরিবেশও।
চীন এরইমধ্যে সিনথেটিক বায়োলজিকে জাতীয় অগ্রাধিকার দিয়েছে। ২০২৪ সালে ‘বায়োইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিশিয়ান’ নামে দেশটিতে একটি নতুন পেশা চালু হয়েছে। ২০২২ সালের বায়োইকোনমি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানে এই গবেষণাকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
গত মার্চে থিয়েনচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদ কোষ ও অণুজীব দিয়ে তৈরি করেছেন কোষের কারখানা, যেটা তৈরি করে জিনেনোসাইড নামের এক ধরনের ‘উদ্ভিজ্জ সোনা’, যা ক্যানসার ঠেকায়, রোগপ্রতিরোধ বাড়ায়। এটি দামে খুব চড়া।
এই যৌগ প্রকৃতিতে বেশ বিরল। সিনথেটিক বায়োলজির জাদুতে এখন তা তৈরি হচ্ছে সহজেই।
বিশ্ববিদ্যালয়টি এই ‘জীব বিজ্ঞানের শিল্প’ এগিয়ে নিতে খুলেছে নতুন একটি স্কুল—‘সিনথেটিক বায়োলজি ও বায়োম্যানুফ্যাকচারিং স্কুল’।
চীনা গবেষকেরা ইতোমধ্যে তৈরি করেছেন ইস্ট-নির্ভর গোলাপের সুবাস, টিউমার চিকিৎসার ব্যাকটেরিয়া, এমনকি সেল ফ্যাক্টরিতে বানানো চর্বিযুক্ত চাল।
সূত্র: সিএমজি বাংলা