Monday, April 21
Shadow

চট্টগ্রামে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি, বাজার মনিটরিং জোরদার করার দাবি 

 মোহাম্মদ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো :  চট্টগ্রামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একশ্রেণীর অসাদু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে ক্রেতা সাধারনের  অভিযোগ। বাজার মনিটরিং এ প্রশাসনের এমন কোন পদক্ষেপ চোখে না পড়ায় জনগণের মাঝে ক্ষোভের বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

 নগরীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শনে দেখা যায় একেক বাজারে একেক পণ্যের দাম একেক রকম। এলাকা বুঝে পণ্যের দাম ঠিক করে ব্যবসায়ীরা। 

 নগরীর বহদ্দারহাট, দুই নাম্বার গেট কর্ণফুলী কাঁচা বাজার, চকবাজার, অক্সিজেন কাঁচা বাজার, কর্ণফুলী কাঁচা বাজার, কাপ্তাই রাস্তার মাথা কাঁচা বাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, বড়পোল বাজার, অলংকার কাঁচা বাজার সহ অন্য বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি কাঁকরোলের দাম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় ঢেড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, সিম ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা অন্যান্য সবজি ও উচ্চ মূ্ল্যে বিক্রি হচ্ছে।

 এদিকে মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায় দেশি রুই কাতলা মৃগেল মাঝারি সাইজের ১৮০ থেকে ২২০ টাকা প্রতি কেজি, বড় সাইজের মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মূল্যে। তেলাপিয়া পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ৮০ টাকায়। দেশি অন্য মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। তবে আরো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে সমুদ্রের মাছ। 

 প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৩০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ২০০ টাকায়। গরুর মাংসের দাম সব সময় উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামে। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০০ টাকায়।

 সব মিলিয়ে নিত্য পণ্যের বাজারে নাবিশ্বাস উঠেছে চট্টগ্রামের জনসাধারণের মাঝে। বাজারে গেলেই অস্থিরতা বাড়ে ক্রেতাদের মাঝে। ক্রেতারা বলেন বাজার মনিটরিং এ নিয়োজিত জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কোনমতেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যদি সঠিকভাবে পালন করে সব সময় বাজার মনিটরিং করে তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ পেত না। মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার জন্য ক্রেতা সাধারণ দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *