Sunday, July 27
Shadow

বাংলা ( অষ্টম শ্রেণি) – পড়াশোনা

জান্নাতুল ফেরদৌস

অতিথির স্মৃতি

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একটি অনবদ্য নাম। আসো প্রথমে তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জেনে নেই। তিনি ১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৯৪ সালে, ভাগলপুর থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন। তিনি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছিলেন। এরপর তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯০৫ সালে বার্মা রেলের পরীক্ষকের অফিসে কেরানির চাকরি দিয়ে। এরপর তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেছিলেন। তিনি অনেক উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, ছোটগল্প রচনা করেছিলেন। তাঁর “দেওঘরের স্মৃতি” গল্পটির নাম পাল্টে এবং কিছুটা পরিমার্জিত করে এখানে “অতিথির স্মৃতি” হিসেবে সংকলন করা হয়েছে। একটি প্রাণির সঙ্গে একজন অসুস্থ মানুষের কয়েকদিনের পরিচয়ে গড়ে ওঠা মমত্বের সম্পর্কই এ গল্পের প্রতিপাদ্য বিষয়। আবার এই সম্পর্কের সূত্র ধরে একটি মানুষ ওই জীবের প্রতি যখন মমতায় সিক্ত হয় তখন অন্য মানুষের আচরণ নির্মম হয়ে উঠতে পারে। এই গল্পে সম্পর্কের এই বিচিত্র রূপই প্রকাশ করা হয়েছে। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কয়েকটি সৃজনশীল প্রশ্ন নিচে দেওয়া হল।

(১) প্রবাসী মিঠুন এবার দেশে এলে একদিন একটি কুকুর তার পিছু নিয়ে বাড়িতে আসে। মিঠুন যতদিন দেশে ছিলেন কুকুরটি তার বাড়িতেই ছিল। তিনি নিয়মিত কুকুরটিকে খাবার দিতেন। কুকুরটিও সারাদিন তার পাশে ঘুরঘুর করত। পুনরায় বিদেশে যাওয়ার দিন মিঠুন সবাইকে বলে গেলেন কুকুরটিকে যেন না তাড়ানো হয়। বিদেশে গিয়েও তিনি কুকুরটিকে ভুলতে পারেননি।

ক. প্রাচীরের ধারে উঁচু গাছটির নাম কী?

খ. লেখকের সত্যিকার ভাবনা ঘুচে গেল কীভাবে?

গ. উদ্দীপকে “অতিথির স্মৃতি” গল্পের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের সমগ্রভাব ধারণ করে না”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরুপণ কর।

(২) একদিন আলামিন তাদের আম বাগানে বসেছিল। এমন সময় একটি তীরবিদ্ধ কবুতর তার সামনে পড়ল। তীরবিদ্ধ স্থান থেকে রক্ত ঝরছিল। তা দেখে আলামিনের মন খারাপ হল। সে তীরটি খুলে পাখিটি পরীক্ষা করে সুস্থ করার চেষ্টা করল। কিন্তু পাখিটি অল্পদিনের মধ্যে মারা গেল। আলামিন পাখিটির শোকে কাঁদতে লাগল।

ক. ব্যাধ কী শিকার করে?

খ. চাকররা বাড়তি খাবারগুলো মালিনীকে দিতে বেশি আগ্রহী কেন?

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কবুতরের প্রতি আলামিনের সেবায় “অতিথির স্মৃতি” গল্পের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা বর্ণনা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের আলামিনের অনুভূতি আর ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখার অনুভূতি একই সুতোয় গাঁথা”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

(৩) কৃষক জমির মিয়া তার লাল গরুটা বিক্রি করে দিলেন। গরুটা তা বুঝতে পারেনি। সে ক্রেতাদের সাথে ধীরে ধীরে হেঁটে মালিকের বাড়ি থেকে চলে গেল। চার পাঁচ দিন বাদে লাল গরুটা সকলকে অবাক করে দিয়ে জমিরের বাড়ি এসে হাজির! লাল গরুটা যেন বলছে, তোমাদের এ কেমন আক্কেল বল তো! আমাকে একা কোথায় পাঠিয়ে দিয়েছিলে? আমি কি তোমাদের ছেড়ে থাকতে পারি?

ক. ‘বেরিবেরি’ – কীসের নাম?

খ. ‘কিন্তু আপত্তি ছিল এবং অত্যন্ত গুরুতর আপত্তি’- প্রসঙ্গটি বুঝিয়ে লিখ।

গ. উদ্দীপকের লাল গরুটার ফিরে আসার মধ্য দিয়ে “অতিথির স্মৃতি” গল্পের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “ আমি কি তোমাদের ছেড়ে থাকতে পারি”? – মন্তব্যটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে বিচার কর।

(৪) গফুর একটা কথারও জবাব দিল না, যথার্থ প্রাপ্য মনে করিয়া অপমান এবং সকল তিরস্কার সবিনয়ে মাথা পাতিয়া লইয়া ব্যথিতচিত্তে ঘরে ফিরিয়া আসিল। প্রতিবেশীদের গৃহ হইতে ভাতের ফ্যান চাহিয়া আনিয়া মহেশকে খাওয়াইল এবং তাহার গায়ে, মাথায় ও শিঙে বারংবার হাত বুলাইয়া অস্ফুটে কত কথাই বলিতে লাগিল।

ক. “অতিথির স্মৃতি” গল্পের রচয়িতা কে?

খ. ‘কি ক্লান্তই না মেয়েটির চোখের চাহনি’- ব্যাখ্যা কর।

গ. “অতিথির স্মৃতি” গল্পে কীভাবে উদ্দীপকের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের আলোকে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটির মূল্যায়ন কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *