Saturday, June 7
Shadow

জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে অভিবাসন নীতি  


আশ্রয়প্রার্থী কমাতে কঠোর নীতি গ্রহণ করছে জার্মানি। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ডট বুধবার জানিয়েছেন, সরকার এখন কিছু দেশকে “নিরাপদ” ঘোষণার প্রক্রিয়া সহজ করতে চায়, যাতে সেসব দেশ থেকে আসা মানুষদের আর রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া যায়।

চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মার্জ–এর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় বুধবার এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে। নতুন নীতিতে কোনো দেশ ‘নিরাপদ’ কিনা, তা নির্ধারণে জার্মান সংসদের উচ্চকক্ষ বুন্দেসরাট–এর অনুমোদন আর প্রয়োজন হবে না। বুন্দেসরাট জার্মানির ১৬টি ফেডারেল রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। এই ধাপটি বাদ দিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি অনেকটা বেড়ে যাবে বলে মনে করছে সরকার।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জিতে মার্জ অভিবাসন কঠোর করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি সীমান্তে অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। তবে এই কঠোর অবস্থান সম্প্রতি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং বিরোধী দলগুলোর সমালোচনারও শিকার হয়।

জার্মানির জনগণের কাছে অভিবাসন ইস্যু এখন অন্যতম বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। নতুন করে আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের কারণে চরম ডানপন্থী রাজনৈতিক দল আফডি (Alternative for Germany)–এর জনপ্রিয়তাও বেড়েছে।

বুধবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা—তারা জানায়, এখন থেকে নিষ্কাশনের মুখে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকবে না। এই পদক্ষেপটিকে আশ্রয় ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডব্রিন্ডট। তিনি বলেন,

“এই পদক্ষেপগুলো পুরো আশ্রয় ব্যবস্থার রূপান্তরের একটি অংশ—একটি ধারাবাহিক পরিকল্পনার অংশ।”

তবে এই কড়াকড়ি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এ সপ্তাহে বার্লিনের একটি আদালত রায় দিয়েছে, জার্মান বর্ডার পুলিশ কর্তৃক তিনজন সোমালি আশ্রয়প্রার্থীর তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইনি নয়।
এই রায়ের পর চ্যান্সেলর মার্জ বলেন, এতে অভিবাসন কড়াকড়িতে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আসবে ঠিকই, তবে সরকার তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে না।

জার্মান সরকারের এসব নতুন পদক্ষেপ দেশটির অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সমালোচকরা একে মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা বললেও, সরকার বলছে—এটি দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *