Saturday, June 7
Shadow

সংযুক্ত আরব আমিরাতে দৈনন্দিন কাজে মুদ্রার দখল নিচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার এখন আর শুধু বিনিয়োগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—ধীরে ধীরে এটি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, খুব শিগগিরই ইউএই-তে ইউটিলিটি বিল, মুদি দোকানের কেনাকাটা, ট্রাফিক ফাইন এমনকি বেতন পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিশোধ করা সম্ভব হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ ক্রিপ্টো গ্রহণে বড় ভূমিকা রাখছে।

সম্প্রতি দুবাই সরকার একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে—সরকারি সেবার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পেমেন্ট করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দুবাইয়ের অর্থ বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম ক্রিপ্টো ডটকম-এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিট ওয়েসিস এর সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওলা দাউদিন বলেন, “দুবাই যখন সরকারি পরিষেবায় ক্রিপ্টো পেমেন্ট চালু করে, তখন এটি শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, বরং বাস্তব প্রয়োগের এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়।”

তিনি আরও জানান, স্টেবলকয়েন এখন বাস্তব সমস্যার কার্যকর সমাধান দিচ্ছে। যেমন—উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দেশে সম্পদের মূল্য ধরে রাখা, কিংবা দ্রুত ও কম খরচে রেমিট্যান্স পাঠানো।

ইতোমধ্যে ইউএই-র অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, এয়ারলাইনস এবং জ্বালানি খুচরা বিক্রেতারা ক্রিপ্টোকারেন্সিকে পেমেন্ট মেথড হিসেবে গ্রহণ করছে। এমনকি গত বছর দুবাইয়ের একটি আদালত এক মামলার রায়ে বলেছে—একজন কর্মীর বেতন তাকে দিরহাম ও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যৌথভাবে দিতে হবে, কারণ তা কর্মচুক্তিতে উল্লেখ ছিল।

দাউদিন মনে করেন, “আমরা ধাপে ধাপে ক্রিপ্টোর বিস্তার দেখব—প্রথমে সরকারি ওয়েবসাইটে, এরপর বিলাসবহুল খাতে যেমন হোটেল, বিমান পরিবহন ও রিটেইলে। এর পরবর্তী ধাপে থাকবে রেমিট্যান্স, বিল পরিশোধ এবং দৈনন্দিন কেনাকাটা।”

আইসিএম এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাই মাহেশ বলছেন, “দুবাইয়ের শক্তিশালী আর্থিক কাঠামো, বহু আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জের উপস্থিতি এবং পরিষ্কার নীতিমালা ক্রিপ্টো গ্রহণকে ত্বরান্বিত করছে।” তিনি জানান, এখন অনেক ছোট ব্যবসা, এমনকি রেস্তোরাঁ পর্যন্ত শুধু বিটকয়েন নয়, ইথেরিয়ামের মতো অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রাও গ্রহণ করছে।

ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী মাহেশ বলেন, “খুব শিগগিরই বেতনও ডিজিটাল মুদ্রায় দেওয়া শুরু হবে। সামনের বছরগুলোতে ক্রিপ্টোর ব্যবহার কেবল বাড়তেই থাকবে।”

সূত্র: খালিজ টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *