Wednesday, February 5
Shadow

আইজ অন লাইফ’ অফিসে হামলার বিষয়ে কোনও দৃশ্যমান আইনি ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি

‘আইজ অন লাইফ অফিসে হামলার প্রায় দুই মাস হয়ে গেলেও কোন দৃশ্যমান আইনি পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি। অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য দেওয়ান মুসাকে যে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হয়, সে বিষয়েও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

অভিযোগের তদন্তে নিয়োজিত এসআই মেহমুদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন চার্জশিট জমা দেয়ার জন্য ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সময় রয়েছে। তবে তিনি এই অভিযোগের বিষয়ে দেওয়ান মুসা বা তার সাক্ষীদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকারের জবানবন্দি নেননি।

এ বিষয়ে দেওয়ান মুসা বলেন, উকিলের পরামর্শে তিনি অভিযোগের প্রমাণগুলি তদন্তকারী অফিসারকে প্রদান করতে চাইলেও ‍তিনি কোন আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তিনি আরো বলেন, পুলিশের কাজকে প্রভাবিত না করতে তিনি উক্ত অফিসারকে কোন প্রকারের অনুরোধ বা উপরোধ করেননি, তিনি চার্জশিট জমা দেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। সাক্ষীদের জবানবন্দি না নিলেও ঘটনার সত্যতা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।

দেওয়ান মুসা অভিযোগ করেন যে, আসামীদের একটা অংশ ফুটপাতের চাঁদাবাজির সাথে জড়িত, এবং এই চাঁদার একটা অংশ কলাবাগান থানার কিছু পুলিশও গ্রহণ করে। তার ধারনা, অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ তদন্ত না হওয়ার এটাও একটা আনুমানিক কারন।

দেওয়ান মুসা বলেন, ‘আমি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন আন্তর্জাতিক সদস্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশের বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়ার পেছনে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো। পুলিশের দায়িত্ব পালন না করার এটাও একটি কারন হতে পারে, তবে সে যে কারনেই হোক, শেষ কথা হচ্ছে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।’

গত ৪ ডিসেম্বর রমজান আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী ‘আইজ অন লাইফ’ অফিসে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বন্দ সৃষ্টির মাধ্যমে হামলা চালায় ও প্রতিষ্ঠানটির একটি ক্যামেরা ভাংচুর করে। এই হামলায় তাদের অফিসের প্রবেশ দরজা ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও একটি ছবির ফ্রেম ভেঙে যায়। ৬ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোন প্রকারের যোগাযোগ না করায় দেওয়ান মুসা সিএমএম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন।

এর প্রেক্ষিতে ২৯ ডিসেম্বর এসআই মেহমুদ তদন্তে এসে ২ নং আসামী মুকুলের অনুরোধে আসামীদের সাথে একটি সমঝোতার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু সমঝোতার নামে আসামীরা আরো কিছু সন্ত্রাসীকে নিয়ে এসে দেওয়ান মুসাকে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য আরো হামলা ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়।

এ বিষয়ে ৩০ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় একটি জিডিও করা হয়, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তারও হয়নি বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন প্রকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপও গৃহিত হয়নি। দেওয়ান মুসা বলেছেন যে ফেব্রুয়ারী মাসেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিলে তিনি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য আবেদন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *