
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধে বাংলাদেশে দ্রুত কার্গো সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ
ভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করায় তৈরি পোশাকসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রপ্তানিতে বাধা দেখা দেয়। ফলে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে কার্গো অবকাঠামো জোরদারে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্মিলিতভাবে হ্যান্ডলিং ফি কমানো, অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ ও নতুন কার্গো টার্মিনাল চালুর কাজ করছে। সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ কার্গো কার্যক্রম চালু হচ্ছে এবং চট্টগ্রামেও কার্যক্রম শুরু হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া জানান, সাশ্রয়ী ও কার্যকর কার্গো পরিষেবা নিশ্চিতে হ্যান্ডলিং চার্জ কমানোর পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক স্টোরেজ সুবিধা চালু হবে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বার্ষিক কার্গো পরিবহন ক্ষমতা ২ লাখ থেকে ৫ লাখ ৪৬ হাজার টনে উন্নীত হবে।
এদিকে ভারতের রুটে সপ্তাহে প্রায় ৬০০ টন পোশাক রপ্তানি হত। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর মূলত প্রতিদিন ৩০০ টনের জন্য তৈরি হলেও বর্তমানে ১২০০ টন পর্যন্ত পণ্য সামাল দিচ্ছে। তবে হ্যান্ডলিং ফি ঢাকায় প্রায় ৬ গুণ বেশি এবং জেট জ্বালানি ৩০% ব্যয়বহুল, যা রপ্তানিকারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অস্থায়ী অসুবিধা হলেও এটি বাংলাদেশের জন্য একটি আঞ্চলিক কার্গো হাব হওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ।