Site icon আজকের কাগজ

জেনেনিন বিরিয়ানি এবং পোলাওয়ের মধ্যের পার্থক্য 

বিরিয়ানি এবং পোলাওয়ের মধ্যের পার্থক্য

জামাল হোসেন: পোলাও এবং বিরানির মধ্যের পার্থক্য হল এর তৈরির নিয়মে। বিরিয়ানি রাঁধতে কয়েকটি ধাপ পার করতে হয় কিন্তু পোলাও মাত্র একটি ধাপে অল্প সময়ে তৈরি হয়ে যায়। বিরিয়ানি রান্নার জন্য অবশ্যই বিশেষ এবং উচ্চ মানের মশলা ব্যাবহার করতে হয়। আর এই সকল মশলা বিরিয়ানিতে বিশেষ ধরণের সাধ ও গন্ধ এনে দেয়। পোলাও সাধানর ভাবে রান্না করা হয় এতে তেমন বিশেষ মশলা দিতে হয় না।

এছাড়াও আর কি কি পার্থক্য আছে বিরিয়ানি এবং পলাওয়ের মধ্যে চলুন দেখা যাক-

১। উৎপত্তি: বিরিয়ানির উৎপত্তি মুলুত ভারতবর্ষে। ভারতবর্ষের বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মুসলিমদের থেকে এই বিরিয়ানির উৎপত্তি। অন্য দিকে পলাওয়ের উৎপত্তি হয়েছে সেন্ট্রাল এসিয়া থেকে।

২। প্রস্তুত প্রণালী: পোলাও এবং বিরানির মধ্যের পার্থক্য হল এর তৈরির নিয়মে। বিরিয়ানি রাঁধতে, ভাতকে আধা রান্না করে তার পানি ফেলে দিয়ে আবার সেই ভাতকে রান্না করা মাংসের সাথে মিশিয়ে রান্না করতে হয়। কিন্তু পলাওয়ের বেলায় তার উলটোটা করতে হয়। এতে প্রথমে পানি পরিমাণ মত দিয়ে একবারে রান্না করে নিতে হয়।

৩। স্তর সাজানো: বিরিয়ানি সাধানরত স্তরে স্তরে সাজিয়ে রান্না করা হয়। বিরিয়ানির একদম শেষের স্তরকে সাজানোর জন্য বিভিন্ন সবজি সালাদ ভাজা পেঁয়াজ বাদাম কিশমিশ ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয়। বিরিয়ানিতে ভাত এবং মাংস একসাথে মিশানো হয়। বিরিয়ানির স্তর সাজানোর পোর আবার অল্প আঁচে রান্না করতে হয়। পলাওয়ের ক্ষেত্রে কোন স্তর ব্যাবহার করা হয় না।  এটি একবারে কোন স্তর ছাড়া তৈরি করা হয় এবং এতে মাংস রান্নার সময় মেশানো হয় না।

৪। মশলার ব্যাবহার: বিরিয়ানির মশলা অবশ্যই বিশেষ এবং উচ্চ মানের হয়ে থাকে পলাওয়ের তুলনায়। এই সকল মশলা বিরিয়ানিতে বিশেষ ধরণের সাধ ও গন্ধ এনে দেয়।

৫। রান্নার সময়: বিরিয়ানি রান্না লম্বা সময় নিয়ে করতে হয়। কারণ এটি তৈরি করতে যে জিনিস লাগে টা কয়েক ধাপে তৈরি করতে হয়। কিন্তু পোলাওতে তা করতে হয় না। পোলাও খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়।

Exit mobile version