Site icon আজকের কাগজ

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা; তালা দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন

তালা দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন

রোকুনুজ্জামান, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অতঃপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে উক্ত ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিচার চেয়েছে।

রবিবার (১৩ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে ছাত্রকল্যাণের পরিচালক কে এ এম রিফাত হাসান ও সহকারি প্রক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং জুলাইয়ে আহত তিনজন শিক্ষার্থী মোঃ ফারুক, ফেরদৌস শেখ এবং মো: ফয়সাল মুরাদের উপর ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন আনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আন্দোলনরত ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২ টা নাগাদ ভিসি ভবন ঘেরাও করে সর্বসম্মতিক্রমে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু দবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:

১. আজ ১৩ জুলাই, ২০২৫ রবিবারের মধ্যেই তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২. যেসব রানিং স্টুডেন্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর এরকম বর্বর হামলায় সরাসরি জড়িত তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৩. একই সাথে সাবেকদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে ও উল্লেখ্য ঘটনায় জড়িত সাবেকদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

সেখানে আরো বলা হয়, ঘটানার ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি না পাওয়ার আন্দোলন আনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামত অনুযায়ী ছাত্রদল কর্তৃক দু’জন শিক্ষকের উপর হামলার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ছাড়া-নির্লিপ্ততা সত্যিই অগ্রহণযোগ্য। এছাড়াও এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির কোনো ধরনের ভূমিকা না নেওয়া তাদের ব্যাথিত করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা আজকে তারা এই সিধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আজ থেকে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ অনিদিষ্টকাল এর জন্য বন্ধ থাকবে এবং যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ বলেন, “শিক্ষকদের হামলা করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা আমরা মেনে নেব না। যারা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে, প্রশাসনের উচিত দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।”

এছাড়াও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইরফান বলেন, “ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা জুলাইয়ে আহত হন এবং বিগত সময়েও ছাত্রদল করেছে তাদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বডিতে থাকা ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামের ওপরও হামলা করে তারা।”

Exit mobile version