দেশে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে
এম এন আলী শিপলু, খুলনা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ইসলামী জ্ঞান চর্চার এক নিপুণ পরিকল্পনার নাম। যারা জামায়াত করেন তাদের জ্ঞানার্জনের প্রধান উৎস হচ্ছে পবিত্র কুরআনুল কারিম। তাই কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করার জন্য জামায়াত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত জামায়াতে ইসলামী সমাজের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য এক মহতী মিশন নিয়ে দীর্ঘ পরিসরে ময়দানে সক্রিয় রয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মূল্যবোধ অনুসরণ করে জাতিকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন-দুঃশাসন ও বৈষম্যহীন জনকল্যাণমুখী নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। মূলত আমরা রাষ্ট্রের সর্বস্তরে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশীদার। তিনি দেশে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইউনিট দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
সোমবার (১৯ মে) সকালে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন ১০নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় বঙ্গবাসী মোড়স্থ ওয়ার্ড কার্যালয়ে ইউনিট ইউনিট প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
১০ নং ওয়ার্ড আমীর গাজী দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বিপ্লব হোসেন বাবুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ মুকাররম বিল্লাহ আনসারী ও অধ্যাপক ইকবাল হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামায়াত নেতা মাওলানা জাফর সাদিক আনসারী, হামিদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, শিক্ষাবিদ আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, ডা. ইশতিয়াক আহমেদ, মোস্তফা কামাল, রবিউল ইসলাম, রাইসুল ইসলাম তুহিন, আবু হানিফ, কামাল হোসেন, জিহাদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মুহিব্বুর রসুল, রাজিবুল ইসলাম, তাজ মুহাম্মদ, মাসুদ, সোহেল, শহিদুল, ছাত্র নেতা লিমন হোসেন, মেজবাহ, মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ইউনিটগুলোই সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি ও হৃদ স্পন্দন। ইউনিট দায়িত্বশীলরাই সংগঠনের প্রকৃত মানদন্ড হিসাবে বিবেচিত। তাই তাদেরকে সংগঠনের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইউনিট দায়িত্বশীল সহ সংগঠনের সকল স্তরের জনশক্তিকে ময়দানে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
আজিজুল ইসলাম ফারাজী বলেন, সংগঠনের ইউনিট পর্যায়ের কার্যক্রম শক্তিশালী হলেই ঊর্ধ্বতন সংগঠন সুদৃঢ় হবে। অতীতে বাধা-প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই দ্বীনের দাওয়াত ব্যাপকতা পেয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোনোভাবেই হতোদ্দম হওয়ার সুযোগ নেই। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় আন্দোলন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি মজবুতি পেয়েছে। আওয়ামী-বাকশালী শাসনামল তার বাস্তব প্রমাণ। আল্লাহর মেহেরবানি ও ছাত্র- জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এখন বিনা বাধায় ময়দানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইসলামের দাওয়াতকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই দ্বীনের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।#