মার্চ ২৯, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: প্রযুক্তিগত উন্নয়নে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে চীনের নিউক্লিয়ার ফিউশন রিয়েক্টর বা ‘কৃত্রিম সূর্য’। প্রথমবারের মতো এতে পরমাণুর নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রন—উভয়ের তাপমাত্রা ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি পাওয়া গেছে, যা কিনা পরিচ্ছন্ন শক্তির পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

‘হুয়ানলিউ-৩’ চীনের তৈরি একটি বৃহৎ বৈজ্ঞানিক যন্ত্র, যা নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয়ার ফিউশন পরিচালনা করে। এর শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া সূর্যের আলো ও তাপ উৎপাদনের প্রক্রিয়ার মতো, যে কারণে এর আরেক নাম ‘কৃত্রিম সূর্য’।
চীন জাতীয় নিউক্লিয়ার কর্পোরেশনের (সিএনএনসি) তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ পরীক্ষামূলক তথ্যে দেখা গেছে, যন্ত্রটিতে প্রথমবারের মতো নিউক্লিয়াসের তাপমাত্রা ১১.৭ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ইলেকট্রনের তাপমাত্রা ১৬ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
সিএনএনসির অধীনে থাকা সাউথওয়েস্টার্ন ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্সের ফিউশন সেন্টারের উপপরিচালক ও হুয়ানলিউ-৩ প্রকল্পের প্রধান চোং উলিয়ু জানালেন, চীনের নিউক্লিয়ার ফিউশন গবেষণা এখন বার্নিং প্লাজমা পরীক্ষার পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এতে চীনের তৈরি হিটিং, কন্ট্রোল ও ডায়াগনস্টিক সরঞ্জাম প্রথমবারের মতো কার্যকর করা হয়েছে এবং প্রযুক্তিগত সূচকেও এটি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মোটকথা, নিউক্লিয়ার ফিউশন গবেষণায় নতুন রেকর্ড গড়েছে এটি।

বার্নিং প্লাজমা পরীক্ষার পর্যায়ে প্রবেশের মানে হলো, নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয়ার ফিউশন এখন বাস্তব প্রয়োগের দিকে এগিয়েছে। গবেষকরা এখন ‘হুয়ানলিউ-৩’-এর সক্ষমতা আরও বাড়ানোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার মূল তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম সূর্যের ফিউশন বিক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়। এতে তৈরি হওয়া উপজাতটিও নিরাপদ। ভবিষ্যতের ‘আদর্শ শক্তির উৎস’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এই ‘কৃত্রিম সূর্য’।