Friday, April 18
Shadow

অপহরণ নয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় মেঘনাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে: ডিএমপি

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। 

Meghna Alam
মেঘনা আলম

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়েছে, মেঘনা আলমকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তার রয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কাজ করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আটকাদেশ সই করার তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।

ডিটেনশন আইনে সরকার কোনও ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা বন্দি করতে পারে। এ ধরনের আইন সাধারণত জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োগ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *