গত ৫ বছরে ব্যবসায়িক কারণে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন সাবেদ সংসদ সদস্য ও জেমকন গ্রুপের কর্ণধার কাজী নাবিল আহমেদ । এর ফলে তার মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১৯ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১ টাকায়। নির্বাচন কমিশনে তার দাখিলকৃত একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছিল।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার ৪২৯ টাকা। এটি দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় বেড়ে ১৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮১ টাকায় পৌঁছেছে। নিজের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২০ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৯ টাকার, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ১৬৫ টাকায়। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৬ কোটি ৯৭ লাখ ১৮ হাজার ৮৭০ টাকা, যা এখন ৯ কোটি ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৭ টাকায় পৌঁছেছে। সন্তানের সঞ্চয়পত্র ছিল ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৬৪ টাকা, যা বর্তমানে বেড়ে ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৩ টাকা হয়েছে।
স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে, একাদশ নির্বাচনে কাজী নাবিলের অকৃষি জমির মূল্য ছিল ২ কোটি ২৩ লাখ ৩৭ হাজার ১০৪ টাকা এবং ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৫ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। তবে দ্বাদশ নির্বাচনে তার স্থাবর সম্পত্তি কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৬ টাকায়।
এদিকে, কাজী নাবিলের বিপুল ঋণের বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৬২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ২৯৬ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৯১৯ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১ টাকায় পৌঁছেছে।
তবে এই ঋণ সব খেলাপি, এবং কাজী নাবিল এখন পলাতক। জানা গেছে, তিনি ৫ আগস্টের আগে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন।
সর্বশেষ হলফনামা অনুযায়ী, বিপুল অংকের ঋণে জর্জরিত এই ব্যবসায়ী ও সংসদ সদস্য বর্তমানে মাত্র ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ২২৬ টাকার সম্পদের মালিক।