Site icon আজকের কাগজ

নড়াইলে আ’লীগ নেতার নেতৃত্বে বিএনপি নেতাদের বাড়িঘর ও অফিস ভাঙচুর

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিএনপি নেতাদের বাড়ী-ঘর,অফিস ভাংচুরসহ গাছাপালা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার সকাল ৬টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের উলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ করা হচ্ছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান,খোকন চৌধুরী তার ছেলে স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগের নামে নাশকতা মামলা রয়েছে।

এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,সোমবার ভোর ৬টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় বিএনপি নেতা অহিদ শেখ,তার বড় ভাই শহীদ শেখ,ইন্তা ফকিরের বাড়িতে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় তারা পাকা দালান,টিনের বসত ঘর,রান্নাঘরসহ ১০টি বাড়ি তছনছ করে । বাধা দিতে গেলে চারজন বিএনপি নেতা গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রানা শেখ (২৮),সোহরাব মোল্যা(৫০),খাইরুল শেখ(২৬),রাব্বি শেক (২০)।   

অহিদ শেখের স্ত্রী নূরজাহান বেগম বলেন,আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় ঘরের আলমারি ভেঙ্গে স্বর্ণাঙ্কার,টাকা পয়সা,গরু-ছাগল,হাস-মুরগী লুট করেছে।আসবাবপত্র,বৈদ্যুতিক মিটার,ধান-চালসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট করে দিয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে নিয়েছে। তিনি বলেন,  বাধা দিতে গেলে তারা অস্ত্র উচিয়ে হত্যা করতে এগিয়ে আসে।

শহীদ শেখ বলেন,তখনো অনেকের ঘুম ভাঙেনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি-ঘর,আসবাবপত্র ভাংচুরসহ গরু-ছাগল লুট করে। তিনি দাবি করেন এতে আমার ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

লক্ষীপাশা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা অহিদ শেখ বলেন,মিজানুর রহমান ওরফে খোকন চৌধুরী,তার ছেলে স্বপ্নীল চৌধুরী ওরফে সোহাগ আমাকে হত্যার হুমকী দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন,এ ভাংচুরের পেছনে লোহাগড়া পৌর ও লক্ষীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির দুইজন নেতার ইন্ধন রয়েছে। তাদের কারণে আমরা নির্যাতিত হচ্ছি। খোকন ও তার ছেলে সোহাগ চৌধুরী জুলঅই গণহত্যার আসামি। তাদের নামে লোহাগড়া এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে উলা গ্রামের সাধারণ মানুষ জানান,মিজানুর রহমান ও তার দোসরা আমাদের গ্রামটা অশান্ত করে দিচ্ছে। নাশকতা মামলায় আটক মিজান চৌধুরী ও তার অনুসারিরাু কিছুদিন আগে জামিনে জেলখানা থেকে বের হয়েছে। এসেই তারা আবার গোলমাল পাকিয়ে বেড়াচ্ছে। হামলা ও ভাংচুরের পর অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


জানতে চাইলে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version