পূর্ণ চন্দ্র মণ্ডল, পাইকগাছা : অধিক মুনাফার আশায় ওজন বাড়ানোর জন্য পাইকগাছায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সিরিঞ্জ দিয়ে চিংড়িতে জেলি সহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ করেন। প্রশাসনের তৎপরতায় এই চক্র কিছুটা বিরতি নিলেও সুযোগ বুঝে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে এসব ভেজাল মাছ রপ্তানি হলে দেশের খ্যাতি নষ্ট হওয়ার সঙ্গে হারিয়ে যেতে পারে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ। এজন্য সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে অভিনয় পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। পাইকগাছায় মৎস্য, মৎস্য পণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ আইনে চিংড়িতে পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মটবাটি গ্রামস্থ মোঃ মোস্তফা ম্যোল্যার নিজস্ব বাসভবন অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক। এসময় চিংড়িতে অপদ্রব্য মিশানোর অপরাধ ওই ব্যক্তিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং জব্দকৃত ১৫ কেজি চিংড়ি মাছ মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়। এসময় উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র রণধীর সরকার সহ থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ প্রতিরোধে সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ হয়েছে। প্রলোভনে পড়ে এধরনের অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করণে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক।
জরিমানা ১৫ হাজার টাকা পাইকগাছায় চিংড়িতে পুশ বিরোধী অভিযান
