পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছা ও কয়রা বাসীর প্রাণের দাবি শিববাটি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অবমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় শিববাটি শিবসা ব্রীজে উপজেলা ছাত্র জনতার ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাড. রুহুল আমিন, আমিনুর ইসলাম কাজল, এসকে মহিবুল্লাহ, আব্দুল কাদের নয়ন, তামিম রায়হান, আল মামুন, আসলাম পারভেজ, হাফিজ বিন তারেক, ফসিয়ার রহমান রনি, শাহাদাৎ হোসেন, আরিফুল ইসলাম রনি, তামিম, শহিদুল ইসলাম, তানভীর হোসেন গাজী, জাবির, মিনারুল ইসলাম, সোহান, আর. সামাদ সহ অনেকে উপজেলার আপামর ছাত্র জনতা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শত শত ছাত্র জনতা বিভিন্ন লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে সরকারের নিকট দাবি জানান শিববাটি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অবমুক্তির দাবি। সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে সেতু দুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
খুলনা-এর অধীন বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা (জেড-৭৬০৪) জেলা মহাসড়কের ৩৩তম কিলোমিটারে অবস্থিত শিবসা সেতু হতে পারাপারকারী যানবাহনের টোল আদায়ের নিমিত্তে ইজারা প্রদান করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তারা শিববাটি ব্রীজের টোল ঘর ভাংচুর ও টোল আদায় বন্ধ করে দেয়। এতে ছাত্রদের প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন জনপদের সাধারণ মানুষ।
এসময় তারা স্থায়ী টোল আদায় বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। সেই থেকে বেশ কিছুদিন টোল আদায় বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ইজারাদারের পক্ষে ফের টোল আদায় শুরু হয়। পাইকগাছা ও কয়রা প্রধান সড়কের শিববাটিস্থ কপোতাক্ষ নদের উপর সড়ক বিভাগের অর্থায়নে ব্রীজটি নির্মাণ হয়। এরপর প্রতিদিন ব্রীজটি দিয়ে পাইকগাছা-কয়রা-আশাশুনিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচলের পাশাপাশি নানা ধরনের শত শত যানবাহন চলাচল করে ব্রীজের উপর দিয়ে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, এই অঞ্চলের মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে শিববাটি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অবমুক্ত করা হোক।