পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল, পাইকগাছাঃ খুলনার পাইকগাছা-কয়রা সড়কে বেহাল দশা। জনদুর্ভোগ চরমে। এতটাই খারাপ যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ছোট-বড় ট্রাক চলাচল বন্ধ
করে দেয় বাস মালিক সমিতি। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ৭ ঘন্টা পর পুনরায় চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া। জানাযায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কপিলমুনির ফকিরবাসা মোড়ে বেহাল রাস্তায় ট্রাক আটকে গেলে ভোর থেকে সকল ধরনের বাস-ট্রাক বন্ধ ঘোষনা করে বাস মালিক সমিতি। খুলনা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে আরও জানাগেছে, খুলনা-পাইকগাছা রুটে প্রতি ১২ মিনিট পর পর একটি গাড়ি ছেড়ে য়ায়। সে হিসেবে ১২০ টি গাড়ি চলাচল করে। সড়ক খারাপ হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। পাইকগাছা ঢাকা পরিবহন স্ট্যান্ড কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান জানান, পাইকগাছা, কয়রা সহ পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলা মানুষ আঠারো মাইল-পাইকগাছা সড়ক ব্যবহার করে সারা দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে যাতয়াত করে। কিন্তু সড়কের খারাপ অবস্থার জন্য যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রায় আমাদের গাড়ি সড়কের মাঝে বিকল হচ্ছে। এ উপজেলা থেকে ঢাকা সহ বিভাগীয় বিভিন্ন শহরে সকাল বিকাল মিলে ৭০টা বড় পরিবহন যাতয়াত করে। কাঁকড়া সমিতির সভাপতি হিরামন মন্ডল ও
মৎস আড়ৎদারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনরা জানান, পাইকগাছা কয়রা কালো সোনা ও সাদা সোনা খ্যাত এলাকা। প্রতি দিন অনেক মাছ ও কাঁকড়া ভর্তি ট্রাক যাতয়াত করে। রাস্তা খারাপের জন্য ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সময়মতো দেশের বিভিন্ন জেলার মাছের বাজারে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
কপিলমুনির দৈনিক জন্মভূমি’র প্রতিনিধি তপন পাল
জানান, কপিলমুনির ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাড়ি মোড়, মুচির পুকুর মোড়ের অবস্থা প্রচন্ড খারাপ। যেকোন সময় গাড়ি রাস্তার খানাখন্দে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাস ড্রাইভার ফারুক, শামীম হোসেনরা জানান, বেহাল সড়কের কারণে গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। যখন তখন গড়ি নষ্ট হচ্ছে। যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পাচ্ছে। সকাল ৫টা থকে গাড়ি বন্ধ ছিল। সড়কে আটকে থাকা গাড়ি উদ্ধারের পর মালিক সমিতি ইট-বালু দেয়ার পর ১১টায় আবার চলাচল শুরু হয়। বাস মালিক সমিতির জেলা সহ-সভাপতি অমরেশ কুমার মন্ডল জানান, আঠারো মাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৬টা স্থানের রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। তালা থানা-ব্রিজ মোড়ের মধ্যেবর্তী স্থান এবং কপিলমুনি ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাড়ী মোড়, মুচির পুকুরের মোড়ের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ইট-বালু ফেলে মেরামতের চেষ্টা করছি। সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। সড়কের বাঁক সরলী করণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করতে দেরি হওয়ায় কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। অর্থ ছাড় হয়েছে অচিরেই এসড়কের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা সওজ এর অতিরিক্ত প্রকৌশলী জাকির হোসেন। এদিকে, জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।