পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় ভরা মৌসুমে মৎস্য লীজ ঘেরের বাঁধ কেটে ও বাসাবাড়ি ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ঘেরের মাছ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কামারাবাদ মৌজার মাইটখালী মৎস্য লীজ ঘেরের এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঘের মালিক পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নালিশী জমির উপর আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে মালিক পক্ষ জানিয়েছে। কপিলমুনি’র নাবা গ্রামের মৃতঃ অতুল মন্ডলের ছেলে জমির মালিক নির্মল চন্দ্র মন্ডল জানান,আমি বিগত ৮৩-৮৪ সালে নিলাম গ্রহিতাদের কাছ থেকে কোবলামূলে ২৫ বিঘা জমি ক্রয় করি।
যার তপশীল হলো কামারাবাদ মৌজার এস এ ৮১ খতিযানভুক্ত ৯৪/১১০ ও ১৮/১১৩ দাগভুক্ত এ ২৫ বিঘা জমি। তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ জমি ভোগ দখলে থাকাকালে আমার সরকার পক্ষ উচ্ছেদ চেষ্টা করলে আমি সরকারের বিরুদ্ধে খুলনার সাবজজ তৃতীয় আদালতে দেওয়ানী ৭৩/৯৫ মামলা করি।
এ মামলায় দোতরফা শুনানীঅন্তে ১৫/২/৯৮ তারিখে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক বাদী পক্ষের রায় ড্রিগ্রী প্রদান করে সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। নির্মল চন্দ্র মন্ডলের ছেলে অসীম মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে এলাকার বিল্লাল গাজী, বাবু শেখ,পিয়ারুল শেখ মান্নান সরদারসহ আমরা যৌথভাবে মৎস্য ঘের করেছি। তিনি অভিযোগ করেন শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে বহিরাগতরা মৎস্য ঘেরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বাঁধ কেটে ও বাসা ভাংচুর করে মাছ লুটপাট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়।
ঘেরের অংশীদার প্রতাপকাটির বাসিন্দা উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পরিচয় দিয়ে বিল্লাল গাজী অভিযোগ করেন, বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে মালথের বাবুল সরদার, এবাদুল, আরশাদের নেতৃত্বে বহিরাগতের নিয়ে ঘেরের বাঁধ ও বাসা ভাংচুরসহ অর্ধকোটি টাকার মৎস্য সম্পদের লুটপাট করে। এ ঘটনায় একই অভিযোগ করেন পিয়ারুল শেখ। এদিকে এ ঘটনায় জমির মালিক নির্মল চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে আরশাদ মালি(৪৫) মজিদ মোড়ল(৪৫) হারুন অর রশীদ (৪৫) বাবুল সরদার(৩৫) এবাদুল আউলিয়াসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে হারুব অর রশীদ ও মজিদ মোড়ল বলেন এ ঘটনায় আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নাই এবং এর দায়ভার জনগণের বলে দাবি করেন তারা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি তদন্ত ইদ্রিসুর রহমান।