Site icon আজকের কাগজ

শীঘ্রই ‘শাস্তিমূলক অভিযান’ চালানো হবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে: ইরানি সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

ইরানি সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল আব্দুররহিম মুসাভি জানিয়েছেন, দখলদার ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ‘শাস্তিমূলক অভিযান’ শুরু করতে যাচ্ছে ইরান।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “ইসরাইলের আগ্রাসনের জবাবে এখন পর্যন্ত আমরা যেসব হামলা চালিয়েছি, তা ছিল মূলত সতর্কবার্তা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। প্রকৃত শাস্তিমূলক অভিযানের সময় এখনো আসেনি। তবে তা খুব শিগগিরই শুরু হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব সামরিক অভিযান আমরা এখন পর্যন্ত চালিয়েছি, তা শুধুই হুঁশিয়ারি। এবার ইসরাইলের আগ্রাসনের জবাবে শাস্তির পালা শুরু হবে।”

ভিডিও বার্তায় ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে তেল আবিব ও হাইফার বাসিন্দাদের উদ্দেশে মুসাভি বলেন, “জীবন বাঁচাতে এসব এলাকা দ্রুত ত্যাগ করুন। নেতানিয়াহুর পশুত্বসুলভ আকাঙ্ক্ষার বলি হবেন না।”

তিনি বলেন, “ইরানি জাতি কখনো কোনো আগ্রাসনের সামনে মাথানত করেনি, ইতিহাস তার সাক্ষী। এবারও বর্বর ইসরাইলি হামলার উপযুক্ত জবাব দেবে ইরান। আমরা শত্রুকে কঠিন শাস্তি দিতে প্রস্তুত।”

মুসাভি জানান, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্স, বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট, সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে অভিযান চালাচ্ছে। এ সব বাহিনী একযোগে শত্রুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কৌশলগত ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।

তিনি আরও জানান, ১৩ জুন থেকে শুরু করে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর ধারাবাহিক আগ্রাসনের জবাবে ইরান একাধিক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।

মুসাভি বলেন, ইসরাইল যে ‘উসকানিমূলক’ হামলা চালিয়েছে, তাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকাগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বহু সাধারণ মানুষ। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন নারী ও শিশু রয়েছে।

তেহরানের স্পষ্ট ঘোষণা—এই হামলার যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক মহল যখন ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, তখন ইরান তাদের অবস্থান আরও কঠোর করেছে। পরিস্থিতি এখন মধ্যপ্রাচ্যে আরও জটিলতার দিকে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Exit mobile version