মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেক মানুষ। ইরান এই হামলাকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে, যা তারা চালিয়েছে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার জবাবে।
ইরান অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত তাদের অন্তত ৭৮ জন নাগরিককে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩২০ জনের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের শহরগুলো, সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি এক কঠোর হুঁশিয়ারিতে বলেছেন, ইসরায়েলকে এই ‘অপরাধের’ জন্য “চরম শাস্তির” মুখোমুখি হতে হবে। তিনি জানান, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার এবং ছয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এই সামরিক অভিযান যতক্ষণ প্রয়োজন চলবে।” তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল যুদ্ধ থামাতে এখনই প্রস্তুত নয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে যেমন ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে চলছে, অন্যদিকে ইরানকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যেন তারা মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা না চালায়।
এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, এই সংঘাত আরও বিস্তৃত রূপ নিতে পারে, যার প্রভাব গোটা অঞ্চলে পড়বে।
সূত্র: আল জাজিরা