চীনের পাবলিক লাইব্রেরিগুলোয় এখন বই সাজানো, ফেরত নেওয়া আর শেয়ার করার কাজ হচ্ছে আরও দ্রুত। কারণ সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত স্মার্ট সিস্টেম। কুয়াংতোংয়ের সান ইয়াত-সেন লাইব্রেরিতে আগে নতুন দুই হাজার বই সাজাতে ২০ দিন লাগত, এখন স্মার্ট সিস্টেমে সে কাজ হচ্ছে ১০ মিনিটেই। চ্যচিয়াং লাইব্রেরিতেও ঘণ্টায় দেড় হাজার বই ফেরত নেওয়া ও সাজানোর কাজ করছে ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম। বেইজিংয়ের ন্যাশনাল লাইব্রেরি দেশজুড়ে লাইব্রেরিগুলোর বই ব্যবস্থাপনা চালু করেছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি।
চীনের পাবলিক লাইব্রেরিগুলোতে বই সাজানো, ফেরত নেওয়া আর শেয়ার করার কাজ এখন বদলে গেছে। বই প্রসেসিংয়ে এসেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তি।
কুয়াংতোং প্রদেশের সান ইয়াত-সেন লাইব্রেরিতে বছরে কেনা হয় প্রায় ৩ লাখ নতুন বই। আগে যেখানে নতুন দুই হাজার বই ক্লাসিফিকেশন, ক্যাটালগিং আর লেবেলিংসহ ১৬টি ধাপ পেরিয়ে শেলফে তুলতে তিন সপ্তাহ লেগে যেত, স্মার্ট সিস্টেমে এখন তা প্রসেস হচ্ছে মাত্র ১০ মিনিটেই।
চ্যচিয়াং লাইব্রেরিতে বসেছে নতুন ইন্টেলিজেন্ট রিটার্ন অ্যান্ড সর্টিং সিস্টেম। ফ্রন্ট-এন্ড মেশিনে বই ফেরত দিলে সেটি দ্রুত বই চিহ্নিত করে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট ঝুড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘণ্টায় দেড় হাজার বই ফেরত আর সাজানোর কাজ হয়ে যাচ্ছে।
চ্যচিয়াং লাইব্রেরির নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল রিসোর্স সেন্টারের প্রধান মেই ইয়িং জানালেন, ‘নতুন সিস্টেমটি ঘণ্টায় দেড় হাজার বই ফেরত দিতে ও সাজাতে পারে, এতে সঠিকতার হার ৯৯.৮ শতাংশের বেশি।’
এদিকে বেইজিংয়ের ন্যাশনাল লাইব্রেরি তৈরি করছে এমন এক অনলাইন সিস্টেম, যাতে দেশের সব পাবলিক লাইব্রেরিকে এক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে বই ভাগাভাগি করা যাচ্ছে সহজে। এই ব্যবস্থায় ব্যবহার হচ্ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি, যা তথ্যের নির্ভুলতা আর সম্পদের যৌথ ব্যবহারে নতুন পথ খুলে দিয়েছে।
ন্যাশনাল লাইব্রেরির ডিজিটাল রিসোর্স বিভাগের প্রধান সিয়ে ছিয়াং জানালেন, ‘ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের লাইব্রেরিগুলোর মধ্যে রিসোর্স শেয়ারিং আরও দ্রুত ও নির্ভুল হবে।’
বই পড়ায় নতুন প্রযুক্তির এই ব্যবহার শুধু সময়ই বাঁচাচ্ছে না, পাঠকরাও পাচ্ছে আরও উন্নত সেবা। এতে করে একদিকে যেমন লাইব্রেরি হয়ে উঠছে আকর্ষণীয় স্থান, তেমনি বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে নতুন প্রজন্ম।
সূত্র: সিএমজি