Monday, November 17
Shadow

সাহিত্য

The stories and poetry of Bangladeshi writers and poets will be published in this category. Bangladesh has many promising writers who we believe can easily make their own place in the world literature arena.

হরর গল্পে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ূন আহমেদ

হরর গল্পে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ূন আহমেদ

কলাম, ফিচার, সাহিত্য
নন্দিত লেখক শাখাওয়াত হোসেনের ফেসবুক পোস্ট থেকে হুমায়ূন আহমেদ ছোটগল্পে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আরেকটু স্পেসিফিক করি: হুমায়ূন আহমেদ হরর ছোটগল্পে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তার সময়কালীন ভালো হরর রাইটার খুঁজে পাওয়া মুশকিল; যদি পাওয়াও যায়, তবে হুমায়ূনের হররের ধারে কাছে কারোর আসার ক্ষমতা খুব একটা কারোর ছিল বলে মনে হয় না। হুমায়ূনের হররের সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের ক্লাসিক হররের তুলনা দিতে পারি আমি নির্দ্বিধায়। হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের মডার্ণ হররের কর্ণধার। তার বেশ ভালো সংখ্যক হরর ছোটগল্প আছে। আমি আমার ব্যক্তিগত পছন্দের হরর হিসেবে নিই, বীণার অসুখ, দ্বিতীয়জন কিংবা সে। দেবী ও নিশীথিনী বাদ দিয়েও মিসির আলির ‘আমি ও আমরা’ আলাদাভাবে নজরকাড়ে তার ভয়াবহ হরর এলিমেন্টগুলোর কারণে। উপরোক্ত ছয়টা হরর গল্পে আমরা হরর হিসেবে কী পাচ্ছি? এই প্রশ্নটার উত্তরের সাথেই জড়িত, কেন হুমায়ূন আহমেদ হরর গল্প...
হেজাযের আগুন

হেজাযের আগুন

কবিতা, সাহিত্য
সভাকবি হে মানুষ, শুনো নবীর বাণী, করো না গাফেল মন, যতদিন না হেজায হতে উঠবে অগ্নির জ্বালন। জ্বলে উঠবে সে আগুন, দিগন্তে ছড়াবে আলো, বুছরার উটের ঘাড়ে পড়বে তার দীপ্ত জ্যোতি ভালো। তখন বাতাস বলবে নীরব সুরে — “শেষ সময় আসন্ন, ফেরার পথ ধরো দূরে!” আকাশ কাঁপবে, পাহাড় গলে পড়বে ধূলায়, মানব হৃদয় তবু থাকবে গাফেল, ভয় পাবে না দোলায়। আল্লাহর নিদর্শন হবে সেই অগ্নিশিখা, গাফেলদের চোখ খুলবে, করবে তারা দোয়া-নিবেদনিকা। হে দুনিয়ার মানুষ, ফিরে চলো এখনই, যে আগুনের আলো জ্বলে উঠবে, তা হবে শেষ সনদ তোমার জীবনী। সেদিন সূর্য উঠবে না শান্ত রঙ্গে, চোখে ভয় আর তওবার কান্না বইবে ঢঙ্গে। হেজাযের আগুন হবে সাক্ষী, নবীর সত্য বাণী, যে শুনেছে, সে বেঁচে গেলো; যে অমান্য, হারালো প্রাণ ধরণী। নামঃসভাকবি। গ্রামঃব্রাহ্মণশোষণ। জেলাঃবি-বাড়িয়া।...
নদী ও শূন্যতা

নদী ও শূন্যতা

কবিতা, সাহিত্য
হাসান মাহমুদ নদী শুকিয়ে যায়, জেগে উঠে চর, শূন্যতার হাহাকার আমার ভিতর। নিঃশব্দ এখানে জোছনা ও জলের গান, হু হু করে কেঁদে উঠে বিরহির প্রাণ। জল হারালে যেমন মরে পাথারের আশ্রয়, বিরহী প্রাণের তেমনি হচ্ছে ক্ষয়। নদীর শূন্যতা করে হাহাকার— শুনতে কি পাও গভীরের সে চিৎকার? ঢেউয়ের মতো স্মৃতি আসে, আবার মিলায় দূরে, মনের ভেতর জাগে ব্যথা, করুন সেই সুরে। জোছনা ও জলের মিলন, জোয়ারে ভরে নদী, শান্ত হতো বিরহীর প্রাণ, ভালোবাসতে যদি। শুকনো নদী আমার মতো, বুকের ভেতর তারও ক্ষত, জোছনা-জলের মিলন হবে—বিরহ আমার অবিরত।।...
ভালো লাগে

ভালো লাগে

কবিতা, সাহিত্য
ওমর ফারুক ভালো লাগে তোমার চোখের ভাষা,যেন ভোরের কুয়াশায় সূর্যের আশা।ভালো লাগে তোমার মিষ্টি হাসি,যেন ফুলের পরাগে ভ্রমরের খুশি। ভালো লাগে তোমার স্পর্শের ছোঁয়া,যেন বৃষ্টির দিনে রোদ ঝরে হাওয়া।ভালো লাগে তোমার টানা দুটি চোখ,যেন পাগল হয়ে আমি ভাসি নয়নে। ভালো লাগে তোমার পাশে থাকা,যেন জীবন পায় নতুন দিশা।ভালো লাগে তোমায় ঘিরে ভাবা,যেন আকাশে চাঁদ তারায় ভরা। ভালো লাগে, শুধু তোমারই কারণে,জীবন সাজাই রঙিন স্বপনে। নামঃওমর ফারুক।গ্রামঃনন্দনপুর।থানাঃরূপসা।জেলাঃখুলনা।...
চুমুর অনন্ত যাত্রা

চুমুর অনন্ত যাত্রা

কবিতা, সাহিত্য
জেমস আব্দুর রহিম রানা, যশোর চুমু তো সবাই খায়।কেউ খায় অভ্যাসে, কেউ খায় তৃষ্ণায়,কেউ খায় দেহের ক্ষুধা মেটাতে,কেউ আবার খায় নিছক খেলায়, ক্ষণিকের নেশায়। কিন্তু আসল চুমু জন্ম নেয় অন্য কোথাও।সেই মুহূর্তে, যখন ঠোঁটের আলতো ছোঁয়াশরীরের সীমানা ছাড়িয়ে যায় গভীরে,যেখানে নিঃশ্বাস নিঃশ্বাসের সাথে মিলেমিশে যায়,আর নীরবতা ভেসে ওঠে একমাত্র একটি নাম—অনুজ। সেই চুমু আর কেবল স্পর্শে আটকে থাকে না।এটি হয়ে ওঠে আত্মার গোপন সংলাপ,যেখানে প্রেম ও কামনা একসাথে ভেসে চলে এক অবিচ্ছেদ্য স্রোতে।দেহের উষ্ণতা গলে যায় হৃদয়ের শান্তিতে,প্রতি নিঃশ্বাস, প্রতি স্পর্শ, প্রতি শব্দ হয়ে ওঠে এক নতুন ধ্বনি। চুমু তখন একটি যাত্রা,যেখানে দু’জন মানুষ ধীরে ধীরে ডুবে যায় একে অপরের গভীরে।শরীর, মন আর আত্মার সব সীমারেখা হারিয়ে যায়,প্রেমের অজানা নদী দু’জনকে একাকার করে ফেলে। সেই যাত্রায় আগুন জ্বলে।দেহ জ্বলে ওঠে তীব্রতায়,কিন্তু সেই আগুনই...
দাম্পত্যে ভালোবাসা ও সহবাস: সম্পর্ক রক্ষার অবহেলিত সেতু

দাম্পত্যে ভালোবাসা ও সহবাস: সম্পর্ক রক্ষার অবহেলিত সেতু

মনের বাঁকে, লাইফস্টাইল
লেখক: জেমস আব্দুর রহিম রানা দাম্পত্য সম্পর্ক মানবজীবনের সবচেয়ে প্রগাঢ় এবং জটিল সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটি। এটি শুধুই সামাজিক বা আইনগত বন্ধন নয়; এটি প্রেম, বোঝাপড়া, দায়িত্ববোধ, আস্থা এবং পারস্পরিক সম্মানের এক সমন্বিত জাল। প্রতিটি দম্পতির জীবন একটি জীবন্ত গল্প। বহুবছর সংসার টিকে থাকলেও তা সুখী হয় না। বাইরে থেকে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হলেও অন্তরে জমে থাকে দূরত্ব, একাকীত্ব এবং সম্পর্কের ফাঁক। দাম্পত্যে দূরত্বের মূল কারণ প্রায়শই ভালোবাসার অভাব, সহবাসে অনীহা এবং একে অপরকে বোঝার অক্ষমতা। সহবাস কেবল শারীরিক মিলন নয়; এটি আবেগের আদান-প্রদান, মানসিক শান্তি এবং সম্পর্ককে নবায়িত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। সহবাসকে অবহেলা করলে সম্পর্ক দুর্বল হয়, ঘনিষ্ঠতা হারায় এবং সংসার শুধু বাহ্যিকভাবে টিকে থাকে। দাম্পত্যে আবেগ, ঘনিষ্ঠতা এবং সহবাসের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সম্পর্ককে সুগভীর, স্থায়ী এবং...
কী দিয়ে রাঙানো সমাজ

কী দিয়ে রাঙানো সমাজ

কবিতা, সাহিত্য
সাবিত রিজওয়ান  উলূক পাখি কার কাছে কী জানাতে চায়,  বটগাছে কারা যেন বাঁদুরের মত উল্টো ঝুলে আছে হায়।  এ কোন শকুন? ঠোঁট তার রামদার মত,  মরা মানুষের কঙ্কাল চুরি করে! এমন পেটুক হয়েছে এরা বুঝেনা কে জীবিত।  শুকনো মরিচের গুড়ার দিয়ে হচ্ছে হলি খেলা,  মিথ্যে কথা হয়েছে মধুর সুর!  মানুষের ন্যায় স্বাভাবিক নয় তার চুলগুলা  ধর্মটা হয়েছে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করার হাতিয়ার।  কাশফুল গুলো শুকিয়ে গেছে,  দেখ এই পথ খানি কখনো জটপাকানো, কখনো ধু ধু পড়েছে।  পাখির মত সবাই উড়ে গেছে বিদ্যাপীঠ থেকে,  বিদ্যাপীঠেও এখন ভরে গেছে অমানুষ! কে-বা সদাশয়ের খোঁজ রাখে।  নদের বুকে আগুনের বলক  সুখ-দুঃখের তাপ,  জোঁকের চেয়েও বেশি রক্ত খায় এরা!  জানিনা কোন ভুলের অভিশাপ।  একে অপরকে করছে তার...
সাদাপাথরের আর্তনাদ

সাদাপাথরের আর্তনাদ

কবিতা, সাহিত্য
আশরাফ বিন হানিফ ভোলাগঞ্জের নদী কাঁদে আজ,  হারিয়েছে সাদাপাথরের সাজ।  পাথর নয় শুধু, দেশের সম্পদ,  চুরি হয়ে গেছে, এ কেমন বিপদ! নীরব কেন আজ সবাই?  প্রশাসন কি তবে ঘুমায়?  ফিরিয়ে দাও সব, হয়েছে যত পাথর চুরি,  এটাই হোক আজ সকলের দাবি। প্রশাসনের কাছে মোদের এটাই দাবি দোষীদের ধরে আজ দাও শাস্তি,  ভোলাগঞ্জের রূপ দেখে ভরে যায় মন, দেশি সম্পদ এটা অমূল্য রতন।...
পাতাবাহার 

পাতাবাহার 

কবিতা, সাহিত্য
হানিফ সরকার শান্ত ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ  আমি পথপ্রান্ত ঘুরে শেষে পৌঁছে গেলাম উচ্চতম পাহাড়ের দেশে। মনের বিস্ময়ের অনুভূতি প্রকাশ করিব কারে? উচ্চতম পাহাড়ের পাশে, নদীর তীরে বসে এক রমণী, গাইছে সাম্যের গান, "মানুষ হওয়াটাই মহান। তার কাজল-কালো নেত্রপলক, সাদা আবরণের শাড়ি, নিলো আমার মন কেড়ে। উচ্চতম পাহাড় অতিক্রম করে, উপস্থিত হইলাম নদীর তীরে। এই সেই মহিষী রমণী, মৌনতার পদদেশে বসে, দুঃখ-কষ্ট বিলাতে পারব তার মনদেশে। অধীর আগ্রহে চাইলাম তার মন। সে বললো, "আমার মনে ঈশ্বরের আগমন। তোমার লাগি ছাড়িব পাহাড়, পথপ্রান্তর, যদি তুমি কর আমার মনরাজ্যে আগমন।" সে বললো, "কিছু ফুল পাতাবাহারের সমতুল্য।"...
মানুষের ভিড়ে দানব

মানুষের ভিড়ে দানব

কবিতা, সাহিত্য
স্বপন বিশ্বাস  কি এক্টা অবস্থা, রক্তে ভেজা রাস্তাঘাট, কেউ ছুরি চালায়, কেউ পাথরে হাসে — হৃদয়হীন এ উৎসব যেন, একটি প্রাণের বিনাশ দেখে, কেউই থামে না পাশে। শত লোকের ভিড়, শত চোখে আলো, তবে কোথাও নেই করুণা, নেই একটুও ভালো। কেউ করে  ভিডিও, কেউ হাসে খুনে, এই কি সভ্যতা? এই কি মানুষের রূপ ছদ্মবেশী বুনো? একজন লুটিয়ে পড়ে, নিঃশ্বাস শেষে, চারপাশে কেবল নীরবতা, আর ভয়ের বেশে। মানব যদি হয় দানব, তবে লজ্জা কি তোমার মৃত বিবেকেও জাগে? তুমি কি মানুষ? নাকি কেবল রক্তের পুতুল? কান্না না শুনে, দেখো শুধু—এই কি সভ্যতার মূল? তোমার নীরবতা আজ এক ছুরি, যা কুপিয়েছে তার বুক, করেছে ভবিষ্যৎ চুরি। ওরে মানুষ, এখনও সময় আছে, ভাঙো এ নীরবতা, গড়ে তোলো সাহসের মাঝে। না হলে একদিন তোমারই বুক চিরে, হাসবে কেউ, আর কেউ কেবল দেখবে—দাঁড়িয়ে ভিড়ে।...