Site icon আজকের কাগজ

হে সোনামণিরা! তোমরা বেঁচে গেছো

সৌরভ বড়ুয়া 

আজকে সকালে এই ফুটফুটে বাচ্চারা মায়ের দেয়া টিফিন নিয়ে স্কুলে আসতো।

প্রতিদিনকার মত সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমিষ্টি পিটি করে ক্লাসে প্রবেশ করতো।

রংতুলি দিয়ে আপনমনে প্রকৃতির ছবি আকঁতো। এক জনের গালে আরেকজন রং লাগিয়ে কতই না আনন্দ পেত!

কাগজের নৌকা বানাতো আর প্লেন উড়াতো ক্লাসেরুমেই। তাদের বয়সই তো এখন খেলনা প্লেন উড়ানোর।

অথচ সত্যিকারের প্লেন এসে নিলো জীবন।

টিফিন পিরিয়ডে খাবার ভাগাভাগি করার হিড়িক পড়ে যেত সহপাঠীদের মধ্যে।

শিক্ষকের সামনে কার আগে কে নিজের সেরাটা উপস্থিত করবে সেই প্রতিযোগিতায় মেতে উঠতো সবাই।

অথচ আজ একদম নিশ্চুপ চারপাশ। মায়েদের ঘুম রেখে দ্রুত উঠে টিফিন তৈরির তাড়া নেই।

স্কুলে যাওয়ার জন্যও কাউকে আর বাধ্য করতে হবে না।

দুনিয়ার সকল পাঠ চুকিয়ে তাঁরা অনন্তকালের ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট হয়ে গেছে।

সেখানে এই কুদরতই খুদা শিক্ষা কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া অখাদ্য আর পাবে না তাঁরা।

তাদের উপর দিয়ে আর কোনো বিমানও উড়বে না কখনো।

জান্নাতের ফুলবাগানে পিতা ইব্রাহিমের সঙ্গে হেঁসে খেলে সময় কাটাবে। কেউ আর বাঁধা দিবে না তাদেরকে।

এভাবে আকাশ থেকে হঠাৎ করে বিমান এসে ক্লাসের মনোযোগে ব্যাঘাতও ঘটাবে না।

সালাম হে সোনামণিরা! তোমরা বেঁচে গেছো এই নর্দমা থেকে। আমরাও আসছি।

Exit mobile version