সম্প্রতি চীনের শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালে চীনের ডিজিটাল শিল্পে আয় হয়েছে ৩৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা গত বছরের তুলনায় ৫.৫% বেশি।
এর মধ্যে, কম্পিউটার, যোগাযোগ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস উত্পাদন শিল্পের মূল্য সংযোজন ১১.৮ শতাংশ বেড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি ব্যবসার প্রভাবে, সফটওয়্যার শিল্পের ব্যবসায়িক আয় ১৩.৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান হয়েছে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ, চীনব্যাপী ৫জি বেস স্টেশনের সংখ্যা ৪২ লাখ ৫১ হাজারে পৌঁছেছে। পাশাপাশি নির্মিত হয়েছে ২০৭টি গিগাবাইট শহর এবং ৯০% এর বেশি প্রশাসনিক গ্রামে ৫জি নেটওয়ার্ক কভারেজ অর্জিত হয়েছে।
ডিজিটাল অর্থনীতি ও এআইতে বৈদেশিক সহায়তা দেবে চীন
চীন বৈদেশিক সহায়তার খাতে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সোমবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি। সংস্থার মুখপাত্র লি মিং জানান, চীন ধারাবাহিকভাবে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি উন্নয়নে সহায়তা প্রকল্প চালু করছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তান, লাওস, মিসর ও উগান্ডাসহ ১৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় টেলিকম, ইন্টারনেট, ই-গভর্ন্যান্স, স্মার্ট পরিবহন ও স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহায়তা দিয়েছে চীন। তিনি আরও বলেন, চীনের সহায়তার কারণে তানজানিয়ার ন্যাশনাল আইসিটি ব্রডব্যান্ড ব্যাকবোন প্রকল্পে কলচার্জ ৫৮ শতাংশ ও ইন্টারনেট খরচ ৭৫ শতাংশ কমেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে ৩০০টির বেশি প্রশিক্ষণ কর্মশালা চালু করেছে চীন।
পুরনো পণ্য বদলানোর ভর্তুকি দ্বিগুণ হবে
চীন এ বছর পুরনো পণ্য বদলে নতুন পণ্য নেওয়ার কর্মসূচি আরও বিস্তৃত আকারে চালু করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের উপপরিচালক লি ছুনলিন। সোমবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, সদ্য সমাপ্ত দুই অধিবেশনে ৩০০ বিলিয়ন ইউয়ান বাজেট অনুমোদিত হয়েছে, যা গত বছরের দ্বিগুণ। এবার মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট ব্রেসলেটসহ পণ্য বদলের ভর্তুকির আওতায় এসেছে।
চীনের শক্তিশালী ভোগের ওপর বিদেশি গণমাধ্যমের মনোযোগ
চীনা জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো সোমবার চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ভোগের একটি প্রধান সূচক হিসেবে ভোগ্যপণ্যের মোট খুচরা বিক্রয় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অনেক বিদেশি গণমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এমনটা জানা গেছে ব্লুমবার্গ, রয়টার্স ও সিএনএন এর খবরে। ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়, চীনের ভোগ্যপণ্যের মোট খুচরা বিক্রয়ের বৃদ্ধি হার অর্থনীতিবিদদের পূর্ববর্তী প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ভোগ্যপণ্যের মোট খুচরা বিক্রয়ের বৃদ্ধিতে ভর্তুকির ভূমিকা প্রতিফলিত হয়েছে।