অস্ত্র, মাদক, হত্যাসহ ৪৮ মামলার এক আসামিকে মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে নানামুখী জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। প্রথমে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হেরোইনের রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন গায়েব করে দেওয়া হয়। তারপর উদ্ধার করা বস্তু হেরোইন নয় উল্লেখ করে জাল প্রতিবেদন বানিয়ে নথিতে সংযুক্ত করা হয়। ভবিষ্যতে যাতে আর পরীক্ষার সুযোগ না থাকে, সে জন্য থানায় রক্ষিত আলামত লুট হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ দাবির পক্ষে তারিখবিহীন যে জিডির বরাত দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
রাজধানীর দারুস সালাম থানার একটি মামলার তদন্ত নিয়ে এত সব কর্মকাণ্ড ঘটে গেলেও তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, ‘তিনি কোনো কিছু না বুঝে’ এবং ‘সরল বিশ্বাসে’ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামত নিয়েই তিনি এটা করেছেন।
যদিও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বললেন, রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। জালিয়াতির বিষয়টি তাঁদের ‘নলেজে’ আসেনি।
আলোচিত এই মামলা [মামলা নং ৮ (৭)২৪] রাজধানীর মিরপুর অঞ্চলের দারুস সালাম থানায় করা হয় গত বছরের ৭ জুলাই। ওই দিন মিরপুরের টোলারবাগ এলাকা থেকে ৩০০ গ্রাম হেরোইনসহ এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি শান্তনুর হোসেন ওরফে পটেটো রুবেলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস মামলা করেন। সেই থেকে এই আসামি কারাগারে আছেন।
মামলার পর নিয়মানুযায়ী উদ্ধার করা হেরোইনের নমুনা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর সিআইডি প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আলামতে হেরোইনের অস্তিত্ব মিলেছে। মামলার নথিতে (কেস ডকেট) এসব বর্ণনার উল্লেখ রয়েছে।
পরবর্তী সময়ে সিআইডির এই প্রতিবেদন গায়েব করে দিয়ে একটি জাল প্রতিবেদন নথিতে সংযুক্ত করা হয়। যাতে বলা হয়, আলামতে হেরোইনের অস্তিত্ব মেলেনি। এরপর আসামি শান্তনুর হোসেন ওরফে পটেটো রুবেলকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠায় দারুস সালাম থানা পুলিশ।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, পটেটো রুবেল নামে পরিচিত এই আসামি মিরপুর এলাকার একজন চিহ্নিত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। কল্যাণপুর–দারুস সালাম এলাকায় তাঁর একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে, যারা এলাকায় কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত। রুবেলের বিরুদ্ধে দুটি খুনের মামলাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে দারুস সালাম এলাকায় সিয়াম খান নামের এক কিশোরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন এই রুবেল।ওই কর্মকর্তার মতে, এমন একজন পেশাদার অপরাধীকে অব্যাহতি দিতে যেভাবে জালিয়াতি করা হয়েছে, তাতে এটা প্রতীয়মান হয় যে এর নেপথ্যে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কেবল এসআই পদমর্যাদার একজন তদন্ত কর্মকর্তার একার পক্ষে এত কিছু করা সম্ভব নয়। আরও কারও না কারও যোগসাজশ থাকার সম্ভাবনা বেশি।
জানা গেছে, পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাকছুদের রহমান এই মামলার তদারকি করেন। তিনি দাবি করেন, সিআইডির রাসায়নিক প্রতিবেদন দেখে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, রাসায়নিক পরীক্ষায় অস্তিত্ব না পেলে হেরোইন হোক আর যা–ই হোক, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া যায় না।
কিন্তু যে রাসায়নিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেটি জালিয়াতি করে তৈরি করা হয়েছে, সিআইডিও সেটি নিশ্চিত করেছে। এই জালিয়াতির জন্য আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মাকছুদের রহমান গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, এমন কিছু তাঁর নলেজে নেই। তিনি বলেন, ‘এমন কনক্লুসিভ (চূড়ান্ত) কিছু যদি হয়, সেটা আমরা দেখতে পারি। আমাদের নলেজে এলে আমরা দেখব। এমন কিছু আমাদের নলেজে নেই। আর যদি অস্তিত্বই (মাদকের) না থাকে, আমরা চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিতে পারি না।’
জাল প্রতিবেদন ও ‘সরল’ বিশ্বাস
মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি পটেটো রুবেলের বিরুদ্ধে করা এই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দারুস সালাম থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল আহাম্মদ। তিনি গত বছরের ১৭ জুলাই ২ গ্রাম আলামত (হেরোইন) পরীক্ষার জন্য সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠান। ৩১ জুলাই সিআইডি রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দারুস সালাম থানায় পাঠায়। থানার সেরেস্তারের মাধ্যমে ১৩ আগস্ট সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষার এই প্রতিবেদন তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা জুয়েল আহাম্মদের কাছে আসে। সেই প্রতিবেদনে (সিআইডির প্রতিবেদন নম্বর ১৩৭৬০) উল্লেখ করা হয়, আলামতে হেরোইনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর জুয়েল আহাম্মদ খাগড়াছড়িতে বদলি হন। ১৬ অক্টোবর মামলাটির তদন্তভার পান এসআই মিরাজুল ইসলাম। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর সিআইডির রাসায়নিক প্রতিবেদন মামলার নথিপত্র (কেস ডকেট) থেকে গায়েব হয়ে যায়।
নথিতে ২৩ নভেম্বর এসআই মিরাজুল ইসলাম নোট লেখেন যে সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন তিনি পাননি। তাই প্রতিবেদন পেতে তিনি সিআইডিতে নতুন করে আবেদন করেছেন। পরে ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছেন মর্মে ১৩ ডিসেম্বর কেস ডকেটে আবার নোট লেখেন এই তদন্ত কর্মকর্তা। তাঁর সংযুক্ত করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়, আলামত রাসায়নিক পরীক্ষা করে হেরোইন পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী সময়ে এই জাল প্রতিবেদন ব্যবহার করে শান্তনুর হোসেন ওরফে পটেটো রুবেলকে অব্যাহতি দিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালতে পাঠানো নথিতে সংযুক্ত প্রতিবেদনটির অনুলিপি নিয়ে গত বুধবার সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারে যাচাই করতে যায় এই প্রতিবেদক। সেখানকার কর্মকর্তারা প্রতিবেদনটি দেখেই নিশ্চিত করেন যে এটা জাল প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনটিতে কর্মকর্তাদের সিল ও স্বাক্ষর এমনভাবে জাল করা হয়েছে, সেটি দেখে তাঁরা বিস্মিত হন। একজন কর্মকর্তা বলেন, এই প্রতিবেদন দেখে বোঝার উপায় নেই এটি জাল করা হয়েছে। তবে খুব ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, জাল প্রতিবেদনটিতে কোনো নম্বর নেই। যদিও তাঁদের প্রতিটি প্রতিবেদনের একটি রিপোর্ট নম্বর থাকে।
এ ছাড়া আলামতে মাদকের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে রাসায়নিক প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘পাওয়া যায় নাই’; কিন্তু উল্লিখিত জাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাওয়া যায়নি’। পরে একজন কর্মকর্তা উল্লিখিত মামলার নম্বর ধরে সিআইডির মূল প্রতিবেদন বের করেন। সেটি দেখিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা যে প্রতিবেদন দিয়েছি, সেটিতে হেরোইন পাওয়া গিয়াছে’ উল্লেখ আছে। এই প্রতিবেদন পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, এটি ডেটাবেজে ইনপুট (সংযুক্ত) করা হয়েছে।
সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারের প্রধান পরীক্ষক নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দেওয়া প্রতিটি প্রতিবেদনেই একটি স্বতন্ত্র নম্বর থাকে।
এ ছাড়া বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারে নতুন করে প্রতিবেদনের জন্য আবেদন করেছেন মর্মে নথিতে নোট লিখেছিলেন; কিন্তু বাস্তবে এমন কোনো আবেদন সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারে আসেনি বলেও নিশ্চিত করে পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষ।
আদালতে জমা দেওয়া নথিতে সংযুক্ত প্রতিবেদনটিতে রাসায়নিক পরীক্ষাগার থেকে প্রদানের তারিখ লেখা রয়েছে ৩১ জুলাই, ২০২৪। অথচ সিআইডির কাছে প্রতিবেদন চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা চিঠি দিয়েছিলেন ২৩ নভেম্বর, ২০২৪। চিঠি দেওয়ার প্রায় চার মাস আগে কী করে প্রতিবেদনে সই হয়, সেটা যেমন একটা বড় প্রশ্ন। ইংরেজিতে লেখা ওই (জাল) প্রতিবেদনে চারটি বানান ভুল। সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিটি প্রতিবেদনেই একটি ‘রিপোর্ট নম্বর’ থাকে; কিন্তু আদালতে সংযুক্ত করা রাসায়নিক প্রতিবেদনটিতে কোনো নম্বরই নেই।
এসব অসংগতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি প্রতিবেদনটি যাচাই করেননি। এতে যে বানান ভুল, রিপোর্ট নম্বর ছিল না; সেসব তিনি খেয়াল করেননি। মামলা তদারকির দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও তাঁকে কিছু বলেননি।
মিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, নম্বরবিহীন প্রতিবেদনটি তিনি সিআইডি থেকে ডাকযোগে পেয়েছেন। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর তিনি ‘পাজলড’ হন। কারণ, ‘হেরোইন পাওয়া যায়নি’ এমন প্রতিবেদন সাধারণত আসে না। ফলে তিনি দারুস সালাম থানার ওসি (রকিব-উল-হোসেন) ও মিরপুরের ডিসির (মাকছুদের রহমান) কাছে মতামত চান। তাঁদের মতামত নিয়েই আসামি পটেটো রুবেলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কোনো কিছু না বুঝে এবং ‘সরল বিশ্বাসে’ তিনি মামলার তদন্ত শেষ করেছেন।
হেরোইনসহ ‘ভুল বুঝে’ গ্রেপ্তার
আসামি রুবেলকে হেরোইনের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদনসহ দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষায় হেরোইন পাওয়া যায়নি বলে মতামত এসেছে। এ কারণে রুবেলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আলামত হেরোইন মনে করে ‘ভুল বুঝে’ এবং থানায় ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে মামলা করেছেন এসআই সুব্রত কুমার দাস। প্রকৃতপক্ষে রুবেলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তু হেরোইন নয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে মিরপুরের ডিসির (মাকছুদের রহমান) অনুমতি নিয়ে ‘তথ্যগত ভুল’ উল্লেখ করে আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গত শুক্রবার রাতে কথা হয় এসআই সুব্রত কুমার দাসের সঙ্গে। তিনি এখন খুলনায় কর্মরত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ‘ভুল বুঝে’ বা ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে মামলা করেননি। তিনি মাদকহসহ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে মামলা করেছেন। রসায়নিক পরীক্ষায় কী এসেছে সেটি তিনি জানেন না। তবে তাঁর সঙ্গে তদন্ত কমকর্তা কোনো যোগাযোগ করেননি।
জিডি নিয়েও ভুল তথ্য
আসামি রুবেলকে অব্যাহতি দিতে ৫ আগস্ট থানায় আলামত লুটের ঘটনার কথাও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পুলিশ। আদালতে পাঠানো চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিরাজুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানায় দুষ্কৃতকারীরা হামলা করেছে। এ সময় এই মামলার আলামত লুট হয়েছে। এ বিষয়ে আগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুয়েল আহাম্মদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
যদিও জুয়েল আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলার আলামত লুট হয়েছে, এমন কোনো জিডি তিনি করেননি।
দারুস সালাম থানার একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, পটেটো রুবেল একজন পেশাদার অপরাধী হওয়ার কারণে তাঁকে অব্যাহতি দিলে প্রশ্ন উঠতে পারে। এমনকি আদালত নতুন করে আলামত পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিতে পারে। এ জন্য কৌশলে একটি পুরোনো তারিখে করা জিডির কথা বলা হয়েছে। আদালতে দেওয়া ওই জিডির কপিতে কোনো তারিখও উল্লেখ নেই।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায় এড়াতে পারেন না
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশকে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে একটি মাদক মামলার আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার নিয়ে পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের মধ্যেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে বলে একাধিক কর্মকর্তা জানান।
একজন মাদক কারবারিকে মামলা থেকে রেহাই দিতে এতসব কাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে মামলার তদন্ত তদারকির দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও দায় এড়াতে পারেন না। তিনি বলেন, প্রতিবেদন জালিয়াতির ঘটনাটি ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। মামলার তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ভুয়া প্রতিবেদন পরীক্ষা না করে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকলে, তাঁদেরও গাফিলতি আছে। তাঁরাও দায় এড়াতে পারেন না। এক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আর জালিয়াতির ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত।