
বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো চীন-বাংলাদেশ গান প্রতিযোগিতা। ‘ভয়েস অব পিস’ প্রতিপাদ্যে যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
সোমবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩ জন বাংলাদেশি ও চীনা শিক্ষার্থী অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। এতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশি ও চীনা গান পরিবেশন করেন।
প্রতিযোগিতায় এ বছর বাংলাদেশিরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সুন রুওক্য। যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন জোবায়েদা তাহসিন দেওয়ান এবং ইমাম জাফর নুমানী। যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পান হুয়াং ওয়েনইয়ান, হুয়াং চেসিন এবং অর্নব ভদ্র ও রাহুল মজুমদার।
এ ছাড়া বিশেষ পুরস্কার হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ এওয়ার্ড পান এফানা হক। তিনি এ প্রতিযোগিতায় পরিবেশন করে থং ই শৌ ক্য গানটি। এ ছাড়া বেস্ট হিস্ট্রিক্যাল রিনান্সমেন্ট পুরস্কার পান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ।
পাশাপাশি ক্রস ল্যাঙ্গুয়েজ পারফরম্যান্স এওয়ার্ড পান জোবায়েদা তাহসিন দেওয়ান।
স্পিরিট অব হেরিটেজ এওয়ার্ড পান মো. ইব্রাহিম খলিল। তিনি পরিবেশন করেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানটি। অ্যাজ ইউ উইশড গান গেয়ে একই পুরস্কার পান রু ইয়ুয়ান।
অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের অ্যাটাশে সুন খ্যংনিং বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের প্রায় একশ তরুণ শিল্পীর অসাধারণ পরিবেশনা আমাদের গভীরভাবে আন্দোলিত করেছে। প্রতিটি পরিবেশনা শুধু সংগীত প্রতিভার প্রদর্শনী নয়, বরং ছিল শান্তি, বন্ধুত্ব ও আমাদের অভিন্ন মানবতার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধার্ঘ্য।
তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিদের কণ্ঠ আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বছরটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আমরা স্মরণ করছি দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে—বিশ্বব্যাপী ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী এবং চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল বলেন, সংগীত নিজেই একটি সর্বজনীন ভাষা। এটি হৃদয় থেকে হৃদয়ে কথা বলে। আজকের এ আয়োজন চীন ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সমন্বয় ও অংশীদারিত্বের গতি নির্দেশ করে।
বাংলাদেশি শিল্পীদের এই সাফল্য দুই দেশের সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: আফরিন মিম, সিএমজি বাংলা