Site icon আজকের কাগজ

সবজিসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্বস্তি

রাজধানীর বাজারে বেড়েছে বেশিরভাগ শাকসবজির দাম। এর সঙ্গে বেড়ে চলেছে নিত্যপণ্যের দামও। আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি, চাল, ডাল, মুরগি ও ডিম।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।

খিলক্ষেতের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়শ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিংগা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাক-সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী। ডিমের হালি ৪০-৪৫ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৭০-১৮০ টাকা। চালের দামও কিছুটা বাড়তি।

পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।

ক্রেতা মাহমুদ ফিরোজ আক্ষেপ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমাদের সরকার পরিবর্তন হলেও, বদলাইনি আমাদের ভাগ্য। আয় বাড়েনি বরং বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পণ্যের দাব বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি, পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি ও পাইকারি বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় খুচরায় দাম বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া মাছেও কিছুটা বাড়তি দাম লক্ষ্য করা গেছে। তবে ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ২২০০ থেকে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুইকাতলা ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, পাঙ্গাশ-তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায়।

কাওরান বাজারে সবজি কিনতে আসা জেসমিন আক্ষেপ করে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার একটা লিমিড থাকে। আমাদের দেশে ক্রেতারা তাদের ইচ্ছা মত দাম বাড়ায়। এদেশে কোনো কারণ ছাড়া জিনিসের দাম এমনি বেড়ে যায়। জিনিসপত্রের দাম দুই টাকা কমবে বাড়ে ১০ টাকা। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নিলে এর প্রভাব আরও গভীর হবে, যা আমাদের মত মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষকে দারুণভাবে চাপে ফেলবে।

Exit mobile version