
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলের সাত দফা দাবিকে সামনে রেখে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (১৯ জুলাই) বেলা ২টা থেকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে তার আগেই, সকাল ১০টার পর থেকে মঞ্চে একে একে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের নেতারা। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে চলেছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে যে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, তা হলো—
১. অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা,
২. দেশের ইতিহাসে সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার করা,
৩. রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার সাধন,
৪. জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন,
৫. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন,
৬. পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন,
৭. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
সমাবেশে শুধু জামায়াতের নেতাকর্মীরাই নয়, সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত হয়েছেন। বক্তারা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং জনগণের অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
সমাবেশের যৌথ সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন—
- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের,
- দলের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ,
- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ,
- ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ডা. রেজাউল করিম।
সমাবেশস্থলে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত রয়েছেন। আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো লক্ষণীয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সমাবেশের মাধ্যমে জামায়াত আবারও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় অবস্থান জানান দিল।