চিকিৎসা খাতের আধুনিকীকরণে আরও এক ধাপ এগিয়েছে চীনের শেনচেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় কুয়াংতোং প্রদেশের এ শহরে স্থানীয় পর্যায়ের চিকিৎসা সেবায় গতি আনতে চালু হয়েছে অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-চালিত স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তি। এতে স্থানীয় ক্লিনিকগুলো যেমন উপকৃত হচ্ছে, তেমনি রোগীরাও সেবা পাচ্ছেন দ্রুত।
শহরের শতাধিক কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৪৫০টির বেশি এআইচালিত চিকিৎসা যন্ত্র বসানো হয়েছে।
বাও’আন জেলার তোংথাং কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চালু হয়েছে এক বিশেষ এআই-সহায়ক টিসিএম রোবট, যা রোগীকে প্রাথমিকভাবে দেখে রোগের সম্ভাব্যতা শনাক্ত করতে পারে। এতে চিকিৎসকেরা দ্রুত রোগীর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে পারছেন।
বুদ্ধিমান চিকিৎসা যন্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় আকুপাংচার, মোক্সিবাস্টন ও মালিশ করার ব্যবস্থা। এতে চিকিৎসকরাও কম চাপের মধ্যে কাজ করতে পারছেন।
তোংথাং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালক ছি লি জানালেন, ‘একজন চিকিৎসক এখন একসঙ্গে একাধিক রোগীর চিকিৎসা দিতে পারছেন। যন্ত্রগুলো আমাদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে।’
কেন্দ্রটি শুধু স্থানীয় রোগীদের চিকিৎসাই দিচ্ছে না, বরং এর আওতাধীন ৩৭টি ক্লিনিকের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি ও সরবরাহের ব্যবস্থাও করছে।
এক্ষেত্রে ওষুধ সরবরাহে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ড্রোন।
শেনচেন ইন্টিগ্রেটেড চাইনিজ অ্যান্ড ওয়েস্টার্ন মেডিসিন হাসপাতালের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং কুয়াংইয়ি জানালেন, ‘আমরা প্রাচীন পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরি করি এবং ড্রোনের মাধ্যমে তা যথাসময়েই রোগীর কাছে পৌঁছে দেই।’
শেনচেন পৌর স্বাস্থ্য কমিশনের উপপরিচালক জানালেন, শহরের ৪০০টিরও বেশি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে এখন এআই-সহায়ক ডায়াগনস্টিক যন্ত্র আছে। এতে সাধারণ মানুষ নিজের পাড়ায় বসেই উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।
চীনে এখন বয়স্ক জনসংখ্যা, দীর্ঘস্থায়ী রোগের প্রাদুর্ভাব এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার বৈষম্যের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন সমাধান খোঁজা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে, দেশজুড়ে আরো বেশি হাসপাতাল এখন এআই প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করছে—যার সুফল পাচ্ছেন রোগী ও চিকিৎসকরা।
সূত্র: সিএমজি