
রোকুনুজ্জামান, জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের ফি প্রদানের নোটিশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হল ফি তিন হাজার ৪০০টাকা কমিয়ে দুই হাজার টাকা করা হলেও এবার পূর্বের নির্ধারিত ফি প্রদানের নোটিশ প্রকাশে এ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত রোববার (১৩ জুলাই) ছাত্রী হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হলের সিট নবায়ন ফি’র বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের আবাসিক ছাত্রীদের গত ৩০ মে পর্যন্ত যে সকল আবাসিক ছাত্রী সিট নবায়নের ফি দেয়নি তাদের পূর্ব নির্ধারিত তিন হাজার ৪০০ টাকা দিতে হবে। আগামী ১৪ জুলাই থেকে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে Student Portal লগইন করে নগদ অথবা রকেট এর মাধ্যমে তিন হাজার ৪০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। টাকা জমার রশিদের এক কপি হল অফিসে জমা দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে হলের সিট নবায়ন ফি তিন হাজার ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত ২ জুন থেকে কার্যকর হবে।
হলের সিট নবায়নের ফি’ প্রদানের নোটিশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র হলের শিক্ষার্থীরা। একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, “আমরা আগেই আন্দোলন করে ফি ৩,৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২,০০০ টাকা করেছি। প্রশাসন সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েও এখন আবার আগের ফি অনুযায়ী টাকা নিচ্ছে-এটা মশকরা নয় তো কী?”
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এক সিটে দুইজন থেকে এত টাকা নেয়-বাংলাদেশের আর কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উদাহরণ নেই। এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।”
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এভাবে কী অতীত থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়? সিদ্ধান্তের আগে অনেকেই সিট নবায়ন ফি দিয়েছে, অনেকে চলেও গেছে! জুলাই, ২০২৫ থেকেই কার্যকর। তারা জুলাই, ২০২৪ থেকে চায়! এতে শুধুমাত্র মাস্টার্সের কিছু ছাত্রী ছাড়া সবাই এই সুবিধা পাবে।