Site icon আজকের কাগজ

জবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

নতুন কর্মসূচি

রোকুনুজ্জামান, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। হামলার ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না আসায় তারা একাডেমিক ভবন তালাবদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

গত ১০ জুলাই ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অভ্যন্তরে দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে তাদের দাবি জানায়। ১৩ জুলাই ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামসহ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ১৪ জুলাই সকাল থেকে আবারো অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে তারা।

তালাবদ্ধ কর্মসূচি শুরুর ঠিক আগে শিক্ষকদের অনুরোধে একটি আলোচনা সভায় বসে শিক্ষার্থীরা। সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভাগের চেয়ারম্যান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং সহকারী প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্ব ঘোষিত তিন দফার সঙ্গে দুটি নতুন দাবি সংযুক্ত করে পাঁচ দফা দাবি পেশ করে।

তাদের দাবিগুলো হলো: ১. ১৫ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ।

২. হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার।

৩. জড়িত বহিরাগতদের আজীবন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা।

৪. সহিংসতা প্রতিরোধে প্রজ্ঞাপন আকারে নীতিমালা প্রণয়ন।

৫. রাজনৈতিক ট্যাগ ও অপপ্রচার বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।

শিক্ষক সমিতি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আজকের কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত রাখে। তবে ঘোষণা দেয়, ১৫ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবন অনির্দিষ্টকালের জন্য তালাবদ্ধ ঘোষণা করা হবে।

তবে এ কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে সংশ্লিষ্ট ভবনের সকল সেমিস্টার ফাইনাল ও মিড টার্ম পরীক্ষা।

এছাড়া ব্যাচভিত্তিক আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসানকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছেন। বিশেষ করে ১৫তম ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধি নন্দিনী ঘোষকে ‘শিবির’ ট্যাগ দেওয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে দায় নিতে বলা হয়েছে।

সবশেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শান্তি, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সব ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানায়।

Exit mobile version