
লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ওপর ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার পাশাপাশি দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস, যা দলের সংগ্রহকে ভরসা দেয়। তার পাশাপাশি শামীম হোসেন পাটোয়ারীও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, ৪৮ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে দলকে শক্ত ভিত্তি উপহার দেন।
ব্যাটিংয়ের এই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বোলাররা তাদের কাজটা করেন নিখুঁতভাবে। শুরুটা এনে দেন শরিফুল ইসলাম, ইনিংসের গোড়াতেই তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। মাঝের ওভারগুলোয় বল হাতে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। আর ম্যাচের শেষটা করেন রিশাদ হোসেন, যিনি শেষ উইকেট তুলে নিয়ে নিশ্চিত করেন টাইগারদের জয়ের উল্লাস।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস তার অনুভূতি প্রকাশ করেন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে। ম্যাচসেরা হওয়ার পর তিনি বলেন,
“চেষ্টা করছিলাম ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য। শামীমকে কৃতিত্ব দিতে হবে, সে শুরুটা দেখিয়েছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। রিশাদ দারুণ করেছে, যখন সে ভালো বল করে, আমরা ভালো করি তখন। কুশলের রান আউটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ সে ভালো ফর্মে ছিল। শরিফুলও দারুণ বল করেছে।”
তার এই বক্তব্যে স্পষ্ট, জয়টা ছিল দলীয় প্রচেষ্টার ফসল। ব্যাটে-বলে সমান অবদান রাখা ক্রিকেটারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সই এনে দিয়েছে স্বস্তির এই জয়।