
গভীর মহাকাশ গবেষণা এতদিন কেবল অল্প কয়েকটি দেশের হাতেই একচেটিয়াভাবে ছিল। এখন সময় এসেছে এই প্রযুক্তিকে পুরো মানবজাতির জন্য উন্মুক্ত করার।এমন অভিপ্রায় থেকেই আন্তর্জাতিক গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান অ্যাসোসিয়েশন বা আইডিএসইএ গড়ে তুলেছে করেছে চীন। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে গভীর মহাকাশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেকাজ করবে এটি।
সোমবার আনহুই প্রদেশের হ্যফেইতে এ কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। মহাকাশকেন্দ্রিক এটাই হবে চীনের প্রথম গবেষণাধর্মী আন্তর্জাতিক সংস্থা। চীনের সাম্প্রতিক চাঁদ ও মঙ্গল অনুসন্ধান নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতেই মূলত নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।
আইডিএসইএ মূলত চাঁদ, মঙ্গল ও গ্রহাণুতে অনুসন্ধানসহ গভীর মহাকাশ অধ্যয়নের ওপর গুরুত্ব দেবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই জটিল প্রযুক্তিতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে।
এক দশকের মধ্যে এ সংস্থার সঙ্গে অন্তত ৫০০টি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ও ১০ হাজার গবেষককে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সিজিটিএনকে জানিয়েছেন চীনের চন্দ্রাভিযান প্রকল্পের প্রধান নকশাকার উ ওয়েইরেন।
ল্যাবটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কেন্দ্রের পরিচালক ওয়াং চোংমিন বলেন, ‘আমরা ছোট অথচ প্রভাবশালী প্রকল্প— যেমন কিউবস্যাট ডিজাইন ও বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ শুরুর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সুযোগ করে দিতে চাই যেন তারা আধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে।’
গত এপ্রিলেই চীন ঘোষণা দেয়, তাদের ছাং-এ ৫ অভিযানে সংগৃহীত চাঁদের মাটি গবেষণার জন্য ছয় দেশের সাতটি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। একইসঙ্গে, চীন তার পরিকল্পিত থিয়েনওয়েন-৩ মঙ্গলগ্রহ স্যাম্পল-রিটার্ন মিশনে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, যা ২০২৮ সালের দিকে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: সিএমজি