রোকুনুজ্জামান গোলাম রাব্বী, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যান্টিনে সুপেয় পানি সংকটের শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ পানির ফিল্টারের অচল অবস্থায় খাবার শেষে পানি পান করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ক্যান্টিনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পানি সংকটের ফলে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে পানি পান করতে হচ্ছে।
৮ জুলাই (মঙ্গলবার) পানির ফিল্টার অকেজো হওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে তথ্য পাওয়া যায় যে, বেশ কয়েকদিন থেকে ক্যান্টিনের একটি ফিল্টার অচল হলেও দুই দিন থেকে তিনটি ফিল্টারের মধ্যে দুইটি ফিলটার থেকেই পানি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। যার ফলে পানি পান করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশনের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দেবাশীষ চন্দ্র দূর্লভ বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এটিই একমাত্র ক্যান্টিন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখানে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাপ থাকে। কিন্তু শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুযায়ী পানির ফিল্টারের সংখ্যা কম। উপরন্তু এগুলোর মধ্যেও সব ফিল্টার সচল না। যার ফলে খাবার শেষে পানি পানে আমাদের দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে দ্রুত প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী নুজাইমা জামান বলেন, “পুরান ঢাকায় পানির অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাই আমরা যত্রতত্র পানি পান করলে আমাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ক্যান্টিনের মতো খাওয়া দাওয়ার এরকম অতি প্রয়োজনীয় একটি জায়গায় সুপেয় পানির এরকম সংকট কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে যথাসম্ভব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কিছু করা উচিত।”
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও সুপেয় পানি সংকটের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক কে. এ. এম. রিফাত হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” ক্যাফেটেরিয়ার পাশের ওয়াশরুম ভেঙ্গে ফেলার সময় জবির প্রকৌশল দপ্তর পানির লাইন ফাটিয়ে ফেলেছে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা তাদের এটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছি। তিন চারদিন আগেও তারা জোড়াতালি দিয়ে এটা ঠিক করেছিলো। কিন্তু পুনরায় এই ভোগান্তির বিষয়টি নিয়ে আমরা দ্রুত তাদের সাথে আলোচনা করবো।”
অপরিকল্পিত ভাবে পাইপ লাইন ভেঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির সম্মুখীন করার প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। সুপেয় পানি পানের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”