‘ডিজিটালি বান্ধব শহর গড়ি’ প্রতিপাদ্যে বুধবার বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের গ্লোবাল ডিজিটাল ইকোনমি কনফারেন্স। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে ৫০টিরও বেশি দেশের ৩০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক অতিথি অংশ নিচ্ছেন, যেখানে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, ব্রিকস এবং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রতিনিধিরাও।
এবারের সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল নিরাপত্তা, তথ্য উপাদান এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার মতো উদীয়মান খাতগুলো বিশেষভাবে আলোচনায় আসছে। প্রথমবারের মতো এই সম্মেলনে সহ-আয়োজক হিসেবে যোগ দিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি।
সম্মেলনে ‘গ্লোবাল ডিজিটাল-বান্ধব উদ্যোগ’ উন্মোচনের পাশাপাশি বেইজিংয়ের ‘শীর্ষ ১০ ডিজিটাল মডেল অ্যাপ্লিকেশন’ প্রকাশিত হবে।
ইউএনডিপিচীনের প্রতিনিধি বিট ট্র্যাঙ্কম্যান বলেন, ‘প্রযুক্তি কী করতে পারে, এখন প্রশ্ন সেটা নয়—আমরা কী বেছে নিচ্ছি সেটাই মুখ্য।’
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জ্যঁ তিরোল বলেন, ‘রাজনৈতিক বিভাজন ও দ্বন্দ্বপূর্ণ বিশ্বে কোনো শিল্পগত লক্ষ্যই টেকসই হতে পারে না।’
তাসখন্দের ডেপুটি মেয়র রাখিমোভা দুর্দোনা বলেন, ‘বেইজিং-তাসখন্দ যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে প্রকল্প চালুর প্রস্তাব দিচ্ছি।’
এছাড়া, স্পেন ও জার্মানির প্রযুক্তি উৎসবে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেশনগুলোতে চীনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তিও প্রদর্শন করা হচ্ছে।
সঙ্গে রয়েছে ডিজিটাল ইকোনমি এক্সপেরিয়েন্স সপ্তাহ, যেখানে ফরবিডেন সিটির পাশেই ছয় হাজার বর্গমিটারজুড়ে ‘ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’ চালু হয়েছে।
সূত্র: সিএমজি