Site icon আজকের কাগজ

বর্তমান জাতিসংঘ মুসলিম নিধন সংঘে পরিণত হয়েছে, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়স্থাপনের সিদ্ধান্ত ঈমানদার জনতা রুখে দিবে

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানান তিনি। জাতিসংঘের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অহরহ। জাতিসংঘই বার বার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে। এ জন্য পীর সাহেব চরমোনাই জাতিসংঘকে মুসলিম নিধন সংঘ নামে অভিহিত করে মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন।

আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, সেক্রেটারী জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আব্দুল হামিদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, জাতিসংঘ একটি অভিশপ্ত প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান মুসলমানের কোন কাজে আসছে বলে আমাদের জানা নেই। কিন্তু জাতিসংঘের ছদ্মবরণে মুসলমানদের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়েছে তার প্রমাণ ঢের আছে। জাতিসংঘের অফিস খোলে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার দৃষ্টান্ত বহু। জাতিসংঘের কথিত মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে এবং মুসলিম দেশের ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে হস্তক্ষেপের পথ উন্মুক্ত করবে। কাজেই জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপন করা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাজ নয়।

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, বিগত সময়ের অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে জাতিসংঘ ইসলামী শরিয়াহ, পারিবারিক আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করে ইসলামবিরোধী চক্রান্ত বাস্তবায়ন করছে। দেশে দেশে মুসলিম নিধন করা হলে জাতিসংঘ কোন কথা বলে না, কিন্তু ভিন্নধর্মীদের উপর সামান্য চুন থেকে পান খসলেই সে দেশে ঘাটি স্থাপন করে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়ার অভিযোগ আছে। আগে জাতিসংঘকে মানবাধিকার রক্ষার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখাতে হবে। যেখানে জাতিসংঘের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বহু। তারা কী মানবাধিকার রক্ষা করবে? এজন্য বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা রুখে দিবে।

Exit mobile version