মেয়েদের এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে এবারই প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ ও ২০২২ সালের দুই আসরে মোট পাঁচটি ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় না পাওয়া বাংলাদেশ এবার সেই জয়-শূন্য অতীতকে পেছনে ফেলেছে।
প্রথম ম্যাচেই বড় চমক দেখায় আফঈদা খন্দকারের দল। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক মিয়ানমারের।
ম্যাচটি শুরু হবে আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়, ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে।
মিয়ানমার মেয়েদের বিপক্ষে অতীত খুব একটা সুখকর নয় বাংলাদেশের জন্য। ২০১৮ সালের নভেম্বরে অলিম্পিক বাছাই পর্বে মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফিফা র্যাংকিংয়েও দুই দলের ব্যবধান চোখে পড়ার মতো—বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮, আর মিয়ানমার আছে ৫৫ নম্বরে। ব্যবধান ৭৩ ধাপ!
তবে র্যাংকিংয়ের সেই ব্যবধানকে পাত্তা দিতে রাজি নন বাংলাদেশের ফুটবল নারীরা। বাহরাইনকে যেভাবে হারিয়েছে তারা, তাতে এবারও চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে প্রস্তুত আফঈদারা।
মঙ্গলবার সকালে অনুশীলন শেষে মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী বলেন,
“বাহরাইনের পর কাল (আজ) আমাদের বড় ম্যাচ মিয়ানমারের বিপক্ষে। এই ম্যাচ ঘিরেই আমাদের সব মনোযোগ। কোচ যেভাবে পরিকল্পনা দিয়েছেন, আমরা তা মাঠে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। আশা করছি ভালো একটি ম্যাচ হবে।”
ফরোয়ার্ড সুরভী আখন্দ বলেন,
“আমি যদি মাঠে নামার সুযোগ পাই, তাহলে নিজের সবটুকু উজাড় করে খেলার চেষ্টা করব। অনুশীলন খুব ভালো হয়েছে। কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ভালো খেলার জন্য প্রস্তুত।”
আরেক ফরোয়ার্ড শাহেদ আক্তার রিপা আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন,
“র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে হারিয়েছি। এবার মিয়ানমারের পালা। তাদেরও হারিয়ে মাঠ ছাড়তে চাই। এই জয় আমাদের ইতিহাস গড়তে সাহায্য করবে—প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূলপর্বে পৌঁছাতে পারব। আমাদের সব ভাবনা এখন এই ম্যাচ ঘিরে।”
বাংলাদেশের মেয়েরা কি পারবে ইতিহাসের পাতায় আরও একটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা যোগ করতে? উত্তর মিলবে আজ ইয়াঙ্গুনের মাঠে।