জুন ২৮, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শুষ্ক অঞ্চলে এক সময় মানুষ খালি হাতে খড়ের জাল বসিয়ে বালির গতি থামানোর চেষ্টা করত। আজ সেই কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি, বায়ো টেকনোলজি ও পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপকরণ।
১৯৫০-এর দশকে বাওতো-লানচৌ রেললাইন বাঁচাতে খড়ের ‘চেকারবোর্ড’ ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন সেই পদ্ধতিটাকেই আরও উন্নত করে তৈরি করা হয়েছে ‘বায়োলজিকাল সয়েল ক্রাস্ট’। এটি তৈরি করেছে নর্থওয়েস্ট ইনস্টিটিউট অব ইকো-এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস। এতে সায়ানোব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে ১০ থেকে ১৬ মাস বালিকে স্থির রাখা যায়।
গবেষক লি শিনরং জানালেন, ‘এই ক্রাস্ট আঠার মতো কাজ করে, যা বালিকে আটকে রাখে এবং আগাছাও রুখে দেয়।’
তিনি আরও জানান, খরাপ্রবণ এই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহারে গুল্মের টিকে থাকার হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে।
এখন পর্যন্ত এই প্রযুক্তি নিংসিয়ার প্রায় ২৬৭ হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি সহজ, দ্রুত, টেকসই বলে দাবি গবেষকদের।
আরেক যুগান্তকারী উদ্যোগ হচ্ছে পুরনো উইন্ড টারবাইনের ব্লেড দিয়ে বালি প্রতিরোধী প্রতিবন্ধকতা তৈরি।
তুনহুয়াং গোবি মরুভূমি গবেষণা কেন্দ্র জানায়, পুরনো ফাইবারগ্লাস ব্লেড ব্যবহার করে তৈরি এই ব্যারিয়ার কাঠের তুলনায় ১৪ গুণ বেশি সক্ষমতা ও অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে।
এই প্রযুক্তি মরু অঞ্চল দিয়ে যাওয়া হাইওয়ে ও রেলপথ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
চীনের জাতীয় বন ও তৃণভূমি প্রশাসন জানিয়েছে, মরুকরণ প্রতিরোধে বিজ্ঞানভিত্তিক এই সব উদ্যোগে ৫৩৮ মিলিয়ন মু ঝুঁকিপূর্ণ জমি রক্ষা এবং ১১৮ মিলিয়ন মু জমি পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
সূত্র: সিএমজি