Site icon আজকের কাগজ

লাকসাম দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদরাসাএডভোকেট সুজন গভর্ণিংবডির সভাপতি মনোনীত

এডভোকেট সুজন গভর্ণিংবডির সভাপতি

সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসামঃ কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন জেলার দক্ষিণাঞ্চলের প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদরাসা’র গভর্ণিংবডির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২২মে) এডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন মাদরাসার গভর্ণিংবডির সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহন করেন। এ সময় তাঁকে ফুল দিয়ে অভিবাদন জানান মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হান্নান।

মাদরাসার গভর্ণিংবডির সহ-সভাপতি মো. সোলায়মান মজুমদার, বিদ্যোৎসাহী সদস্য মো. শহীদ উল্লাহ কায়সার বাবলু, মো. মাহবুবই এলাহী রাজু, তন্ময় ইসলাম, অভিভাবক সদস্য অধ্যক্ষ আবু তাহের, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম আব্বাসী, সাইফ উদ্দিন খোকন, শিক্ষক প্রতিনিধি মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দেস মাওলানা আবদুল হালিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসাইন, মো.আহসান উল্লাহ, চিকিৎসক প্রতিনিধি ডাক্তার কবির হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকমন্ডলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৭মে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর’র (ভিসি) অনুমতিক্রমে রেজিস্ট্রার মো. আইয়ুব হোসেন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদরাসার গভর্ণিংবডির সভাপতি হিসেবে এডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন এবং বিদ্যোৎসাহী হিসেবে তন্ময় ইসলামকে মনোনয়ন প্রদান করেন।

দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদরাসার নবগঠিত গভর্ণিংবডির সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন বলেন, এই মাদরাসাটি কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের অত্যন্ত প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে নবগঠিত কমিটি বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে তিনি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক, অভিভাবক এবং গভর্ণিংবডির সমন্বয়ের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষক-অভিভাবকের ভূমিকা অপরিসীম। তবে সবার আগে প্রয়োজন তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে সন্তানের প্রতি অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। যেনো তারা কোনোভাবেই পড়ালেখার বাইরে মোবাইল আসক্ত হয়ে না পড়ে। বিপথগামী সহপাঠীদের সঙ্গে মিশতে না পারে।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যেনো কোচিং নির্ভর না হয়। শ্রেণিকক্ষের  পাঠ শ্রেণিকক্ষেই শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে দুর্বল শিক্ষার্থীদের বাছাই করে বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের বাইরেও নৈতিক শিক্ষাদানে শিক্ষক-অভিভাবাকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

Exit mobile version