সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসামঃ উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নবাব নারী জাগরণ ও নারী শিক্ষার অগ্রদূত একুশে পদক প্রাপ্ত (মরণোত্তর) সমাজ হিতৈষী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর স্মৃতি স্মরণে ‘নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী’ স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০২৫ প্রতিযোগিতা আজ সোমবার (১৯ মে) উদ্বোধন হচ্ছে।
ওইদিন সকাল ১০টায় লাকসাম উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ‘নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী’ স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০২৫ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. তৌহিদুল ইসলাম।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ ‘নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী’ স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০২৫ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন’র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও কাউছার হামিদ জানান, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং পৌরসভার সহযোগিতায় এ বিতর্ক উৎসব-২০২৫ প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-মাদ্রাসা) শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
তিনি জানান, ১৯মে প্রথম রাউন্ড এবং ২০মে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল পর্ব সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া, চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠান নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর বাড়ি যাদুঘরে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।
ইউএনও কাউছার হামিদ বলেন, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী আমাদের গর্ব। তিনি আমাদের সম্পদ। তিনি ছিলেন, এই উপমহাদেশের একমাত্র মুসলিম মহিলা নবাব। শুধু তাই নয়; তিনি ছিলেন বৃটিশ ভারতের প্রথম মহিলা কবি।’ সঙ্গীতসার’ ও ‘ সঙ্গীতলহরী ‘ নামে তাঁর দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া, কলকাতা থেকে প্রকাশিত সুধাকর ও মুসলমান বন্ধু নামে দুটি পত্রিকার প্রধান পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী। ইংরেজি শিক্ষা তথা নারী শিক্ষার প্রতি তাঁর বিশেষ অনুরাগ ছিল।
ইউএনও বলেন, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজসেবাই শুধু নয়; সাহিত্য সাধনায়ও অনন্য অবদান রেখেছিলেন। ১৮৭৬ সালে গদ্যে ও পদ্যে রচিত রুপক ও ব্যতিক্রমধর্মী ৪১৭ পৃষ্ঠার ‘রুপ-জালাল ‘ গ্রন্থে তিনি কৌশলে তাঁর স্বীয় জীবনের ছায়াপাত ঘটিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে এ মহিয়সী নারী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর জীবনাদর্শ ও কর্মময় জীবন তুলে ধরার প্রত্যয়ে ‘নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী’ স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০২৫ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।