Site icon আজকের কাগজ

মহারশি নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কারে ধীরগতি, আকাশে মেঘ দেখলেই আতংকিত বাঁধের পাড়ের মানুষ  

নদীর বেড়িবাঁধ

আনিছ আহমেদ (শেরপুর): শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারে  ধীরগতির ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীদের।  জানা যায়, গত বছর  অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে  আসা পাহাড়ি ঢলের পানির এসে মহারশি নদীর বিভিন্ন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। এসব বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ এলাকা দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে কয়েক শত বাড়ি ঘর রাস্তা-ঘাট ও ফসলের  ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে ১ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে  সিংহভাগ গৃহহীন পরিবার তাদের   বিধ্বস্ত বাড়ী ঘর সংস্কার কর্তে স্বক্ষম হলেও অনেক আজও সংস্কার করতে পারেনি। অপরদিকে গত বছর মহারশি নদীর বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ গুলোও সংস্কারে ধীরগতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।  জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড,  ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পূর্ব পাশে  ২১৬০ মিটার  ও  পশ্চিম ১৩৪০ মিটার কাজ হাতে নেয়। ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে  টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার ও নিয়োগ দেয়া হয়। গত দুই মাস পুর্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু  করে। কিন্তু  অভিযোগ রয়েছে নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ যে কাজে সময় লাগার কথা ১ সপ্তাহ। সে কাজ গত দুই মাসেও শেষ হয়নি। কাজ চলছে ধীরগতিতে।  ফলে আকাশে মেঘ দেখলেই  মহারশি নদীর বাঁধের পাড়ের মানুষের মাঝে আতংক দেখা দেয়। এছাড়া  মাটি দিয়ে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারে কথা থাকলেও বালু ও মাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। ঠিকাদারের নিজ উদ্যোগে বেকু দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও বালু মিশ্রিত মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। পাইলিং এ ব্যাবহার করা হচ্ছে একেবারেই নিম্ন মানের কাঠ। ফলে বেড়িবাঁধ সংস্কারে  সরকারের  উদ্দেশ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া ঠিকাদারের লোকজন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের অযুহাত নদী থেকে ও নদীর পাড় কেটে অবাধে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। এতে নদীর পাড় ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পরেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বাঁধা  নিষেধ করা  হলেও মানছে না ঠিকাদারের লোকজন। এ বিষয়ে ঠিকাদের লোক কায়ছার আহমেদ বলেন   নদী থেকে মাটি আনতে না দিলে কাজ বন্ধ করে চলে যাবো। আমরা মাটি আনবো কোত্থেকে। শেরপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী মো,আখিনুজ্জামান বলেন এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । বালু সরিয়ে মাটি দেয়ার পর আবার নতুন করে কাজ শুরু করা হবে ।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ঠিকাদার মাটি কোত্থেকে আনবে এটা আমার জানার বিষয় নয়। তিনি বলেন নদী থেকে মাটি  ও বালু উত্তোলন করে বেড়িবাঁধে ব্যবহারের বিষয়টি বহুবার বাঁধা নিষেধ দেয়া হলেও ঠিকাদারের লোকজন তা মানছে না।

Exit mobile version